নিউজ ডেস্ক
ব্রিটবাংলা ডেস্ক : নিজের পদত্যাগের জন্যে আবারো অন্যের উপর দোষ চাপালেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রায় ৭ সপ্তাহ দায়িত্ব পালন শেষে পদত্যাগ করতে বাধ্য কনজারভেটিভ পার্টির এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী। সানডে টেলিগ্রাফে লেখা এক কলামে প্রধানমন্ত্রীত্ব হারানোর জন্যে তিনি শক্তিশালি লেফট উইং ইকোনমিক ইস্টাবলিষ্টমেন্টকে দায়ী করেছেন। একই সঙ্গে কনজারভেটিভ পার্টির সমর্থনের অভাব ছিল বলেও মন্তব্য করেন। এই কলামের মাধ্যমে তিনি আবারো রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের কর-কর্তনের বাজেট ব্রিটিশ অর্থনীতিতে আতঙ্ক তৈরী করেছিল। পাউন্ডের দরপতন ঘটেছিল রেকর্ড পরিমানে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের চ্যান্সেলার ছিলেন কাউয়াসি কার্টেন। লিজ ট্রাস প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার তিন সপ্তাহের মাথায় চ্যান্সেরার কাউয়াসি ৪৫ বিলিয়ন পাউন্ড কর-কর্তনের ঘোষণা দিয়ে মিনি বাজেট পেশ করেন। আর এখান থেকেই শুরু হয় ব্রিটিশ অর্থনীতি এবং রাজনীতির টালমাটাল অবস্থা। সমালোচনার মুখে প্রথমে চ্যান্সেলারকে বরখাস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি নিজে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।এ বিষয়ে বর্তমান বিজনেস সেক্রেটারী গ্র্যান্ট শ্যাপস বলেছেন, লিজ ট্রাসের কর-কর্তনের পুরো পরিকল্পনা ছিল ভুল এবং তার অর্থনৈতিক এজেন্ডা কখনোই বাস্তববাদী ছিল না। যদিও লিজ ট্রাসের কেবিনেটে ছিলেন গ্র্যান্টশ্যাপস। কনজারভেটিভ পার্টির সাবেক কেবিনেট মিনিস্টার ডেভিড গৌউক লিজ ট্রাসের মিনি বাজেটের গ্রহণযোগ্যতা ছিল না বলেও মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য লিজ ট্রাস মাত্র ৪৫ দিন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ব্রিটিশ ইতিহাসে সবচেয়ে কম মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রেকর্ড করেছেন তিনি। ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বরে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ৪৫ দিনের মাথায় ২০শে অক্টোবর পদত্যাগ করেন। লিজ ট্রাসের আগে ১৮২৭ সালে তৎকালিন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জর্জ ক্যানিং ১শ ১৯ দিন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অফিসে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। লিজ ট্রাস ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের সাউথ ওয়েস্ট নরফোক থেকে কনজারভেটিভ পার্টির এমপি নির্বাচিত হন।