নিজে দাঁড়িয়ে ২০০ মেয়ের বিয়ে দেবেন মমতা ব্যানার্জী

ব্রিট বাংলা ডেস্ক : সম্প্রতি এনআরসি নিয়ে চলমান বিতর্কে বিরোধী অবস্থান নিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। এবার তিনি ২০০ আদিবাসী মেয়ের গণবিয়ের আয়োজন করেছেন। ৫ মার্চ ওপার বাংলার মালদহে ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের আওতায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটি গণবিবাহের অনুষ্ঠান রয়েছে। সেই গণবিবাহ অনুষ্ঠানেই উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এক মাস আগেই আদিবাসীদের বিয়ে দিয়ে ধর্মান্তরকরণ করার অভিযোগ ওঠে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বিরুদ্ধে। মালদহে আদিবাসীদের বিয়ে দিয়ে ধর্মান্তকরণ করছে বলে অভিযোগ উঠেছিল ওই সংগঠনটির বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েকজন গ্রেপ্তারও করা হয়। এবার রূপশ্রী প্রকল্পের আওতায় গণবিবাহের আয়োজন করে তৃণমূল শিবির পাল্টা আদিবাসীদের পাশে থাকার বার্তা দিতে চায় তৃণমূল। আদিবাসীদের সব প্রয়োজনে সবসময় তার সরকার পাশে আছে, নিজে উপস্থিত থেকে সেই বার্তা দিতে চান মমতা।

উল্লেখ্য, ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিয়েতে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। যেসব পরিবারের আর্থিক সঙ্গতি কম, তাদের ক্ষেত্রে মেয়ের বয়স ১৮ হওয়ার পর বিয়ের জন্য এককালীন ২৫০০০ টাকা অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে। এখন এই ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের কথা আদিবাসীরা যাতে আরও ভালভাবে জানতে পারে, আদিবাসীদের মধ্যে এই প্রকল্পের কথা যাতে ছড়িয়ে পড়ে, সেই কারণেই গণবিবাহের আয়োজন।

প্রসঙ্গত, গত ২ ফেব্রুয়ারি পুরাতন মালদহে গণবিবাহ ঘিরে তুলকালাম হয়েছিল। আটমাইলে আদিবাসী যুবক-যুবতীদের গণবিবাহের ব্যবস্থা করেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। হিন্দু রীতি মেনে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ তুলে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে ঝাড়খন্ড দিশম পার্টি। দুপক্ষই একে অপরকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বিরুদ্ধে আদিবাসীদের ১২ হাজার টাকা করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপরেই মমতা এই উদ্যোগ নিয়েছেন আদিবাসীদের পাশে দাঁড়াতে।

Advertisement