নীতি ও আদর্শ নিয়ে ছাত্রলীগকে চলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নীতি ও আদর্শ নিয়ে চলার কথা বলেছেন সংগঠনটির সাংগঠনিক অভিভাবক আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একটা নীতি ও আদর্শ নিয়ে ছাত্রলীগকে পরিচালিত হতে হবে। এর মাধ্যমেই আগামীতে দেশ পরিচালনায় যোগ্য নেতৃত্ব পাওয়া যাবে। আগামী দিনের নেতৃত্ব যেন প্রজন্মের পর প্রজন্মের একটি ধারাবাহিকতায় আসে। আর এ নেতৃত্ব যেন ছাত্রলীগের মধ্য দিয়ে তৈরি হয়, সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিতে হবে।

শনিবার বিকালে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, আদর্শ ও নীতি ছাড়া কোনোদিন নেতৃত্ব তৈরি হয় না। নীতি ছাড়া কেউ কোনোদিন মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারে না। জাতিকে কিছু দিতে পারে না। নীতি ও আদর্শ ছিল বলেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের জন্য অবদান রাখতে পেরেছিলেন।

এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দলীয় সভাপতিতে স্লোগান দিয়ে স্বাগত জানায়। ‘জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘শুভ শুভ শুভ দিন-ছাত্রলীগের জন্মদিন’ স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে গোটা উদ্যান।

উত্তরীয় পরিয়ে শেখ হাসিনাকে বরণ করে নেন ছাত্রলীগের নেতারা। পরে জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীতের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়। এরপর দেশাত্মবোধক গান বাজানো হয়।

অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা রঙের ব্যানার-ফেস্টুন হাতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়েছেন। দুপুর হওয়ার আগেই সংগঠনটির সাবেক-বর্তমান নেতাকর্মীদের মিলনমেলায় রূপ নিয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।

প্রসঙ্গত ১৯৪৮ সালের এদিনে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান উপমহাদেশের বৃহৎ এ ছাত্র সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুতে সংগঠনটির নাম ছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ’।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এটি ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামে কার্যক্রম শুরু করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভাষা আন্দোলন ও মহান স্বাধীনতা সংগ্রামসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়েছে ঐতিহ্যবাহী এ ছাত্র সংগঠনটি।

Advertisement