নামের মধ্যে এক রকম বন্য বন্য গন্ধ। অ্যারেনা অ্যামাজোনিয়া। অ্যামাজন বনাঞ্চল ঘেঁষা ব্রাজিলিয়ান শহর মানাউসের স্টেডিয়াম। এখানেই আজ (শুক্রবার) বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে উরুগুয়েকে অভ্যর্থনা জানিয়েছিল স্বাগতিক দেশ ব্রাজিল। যদিও মাঠের খেলায় বিন্দু মাত্র ছাড় দেয়নি নেইমার অ্যান্ড কোং।বরং নেইমারের এক নৈপুণ্যে উরুগুয়েকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করল ব্রাজিল। সেলেসাওদের ৪ গোলের তিনটিতেই অবদান ছিল নেইমারের। একটি গোল নিজে করেছেন তিনি। আর দুটি গোল হয়েছে তার সরাসরি অ্যাসিস্টে। ব্রাজিলের জার্সি গায়ে এ নিয়ে নেইমারের গোলসংখ্যা হয়ে গেল ৭০। ৭৭ গোল নিয়ে তার সামনে রয়েছেন কেবল পেলে।
ব্রাজিলের হয়ে জোড়া গোল করেছেন রাফিনহা এবং বাকি গোলটি এসেছে গ্যাব্রিয়েল বারবোসার পা থেকে। উরুগুয়ের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন লুইস সুয়ারেজ।বিরল এই ম্যাচে জয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ব্রাজিল। ১১ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ৩১। বলাই বাহুল্য, ল্যাটিন আমেরিকা অঞ্চলে ব্রাজিল রয়েছে সবার শীর্ষে।২০০১ সালের পর উরুগুয়ের কাছে কোনো ম্যাচ হারেনি ব্রাজিল। সর্বশেষ ২০০১ সালে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে উরুগুয়ে ১-০ গোলে হারিয়েছিল সেলেসাওদের। এরপর ১৩টি ম্যাচ সুয়ারেজদের বিপক্ষে অপরাজিত নেইমাররা।ম্যাচের ১০ম মিনিটেই ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন নেইমার। উরুগুয়ের ডিফেন্স ছিরে ফ্রেড দুর্দান্ত পাস দেন নেইমারকে। সেটিই তিনি জড়িয়ে দেন উরুগুয়ের জালে।
৮ মিনিট পর (১৮ মিনিটে) আবারও গোল। এবারও ব্রাজিলের। আগের ম্যাচে সাইড বেঞ্চে বসা ছিলেন রাফিনহা। এই ম্যাচে তাকে একাদশে নিয়ে আসেন কোচ তিতে। তার প্রতিদান দিলেন তিনি জোড়া গোল করে। বাম পায়ের দুর্দান্ত শটে তিনি উরুগুয়ের জালে বল জড়ান।ম্যাচের ৫৮ মিনিটে রাফিনহার আরও একটি গোল। এবার নেইমারের দুর্দান্ত অ্যাসিস্ট। তার কাছ থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের দারুণ এক শটে উরুগুয়ের জালে বল জড়ান রাফিনহা।ম্যাচের ৭৭ মিনিটে ব্রাজিলের একটি গোল শোধ করেন উরুগুয়ে তারকা লুইস সুয়ারেজ। তার এই গোলটি ছিল দুর্দান্ত। ২৫ গজ দুর থেকে ফ্রি কিক নেন সুয়ারেজ। মাটি কামড়ানো এই শটটি এডারসনকে ফাঁকি দিয়ে ব্রাজিলের জালে জড়িয়ে যায়।ম্যাচের শেষ দিকে ৮৩ মিনিটে আবারও নেইমারের অ্যাসিস্ট। এবার তার অসাধারণ অ্যাসিস্টে দুর্দান্ত ফিনিশিং টানেন গ্যাব্রিয়েল বারবোসা।