বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ডা. এস এ মালেক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বে বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। পদ্মা সেতু তাঁর (শেখ হাসিনা) সাহসিকতা, সততা ও সক্ষমতার উজ্জ্বলতম উদাহরণ।
আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত ‘সাহসিকতা ও সততার পদ্মা সেতু’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ডা. এস এ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সিনিয়র সাংবাদিক অজিত কুমার সরকার। মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. আবুল বারকাত ও প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আ জ ম শফিউল আলম ভূঁইয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক।
মূল প্রবন্ধে অজিত কুমার সরকার বলেন, পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্রের জাল বোনা হয় ২০১৪ সালের জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে। যাতে যুক্ত হয় দেশের বিরোধী রাজনীতিক,সুশীল সমাজের কতিপয় ব্যক্তি এবং আন্তর্জাতিক একটি মহল। তাদের লক্ষ্য ছিল পদ্মা সেতু প্রকল্পকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের কপালে দুর্নীতির কলঙ্ক একে দিয়ে ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয় নিশ্চিত করা।
ডা. এস এ মালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের সৎ রাষ্ট্রনেতাদের একজন। তিনি সৎ বলেই পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগের ব্যাপারে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তাদেরকেই তা প্রমাণ করতে বলেছিলেন। তাঁর সাহসিকতা, সততা ও দূরদর্শিতার কাছে দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যায়। বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন করে অর্থনৈতিক সক্ষমতার উজ্জ্বলতম উদাহরণ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।ড. বারকাত তাঁর লেখা ‘নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ সুযোগ’ গ্রন্থ উদ্ধৃত করে বলেন, দুঃখজনক হলো দেশের সুশীল সমাজের অনেকেই বিবৃতি ও লেখনির মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকের সাথে সুর মিলিয়ে পদ্মা সেতুতে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগকে সত্য বলে প্রমাণের জন্য অপপ্রচারে লিপ্ত হন। তারা নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে অবাস্তব বলে উড়িয়ে দেয়।তিনি বলেন, ‘সেদিন আমি হিসাব কষে দেখিয়েছিলাম, নিজস্ব অর্থে চারটি পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব। প্রকৃত সত্য হলো পদ্মা সেতু আজ আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হয়েছে।অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে আমাদের অনেক অনন্য অর্জন রয়েছে। এই অনন্য অর্জনের তালিকায় আগামী ২৫ জুন যোগ হচ্ছে পদ্মা সেতু। এই অর্জন এক অর্থে ব্যতিক্রমী এজন্যই যে, পদ্মা সেতু প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হয়েছে ষড়যন্ত্র ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে।