ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় অবিলম্বে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। আগেই এই যুদ্ধে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছিল রাশিয়া। কিন্তু উভয় পক্ষই তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। কয়েকদিন ধরে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের দখল নিয়ে যুদ্ধ চলছে এই দুটি দেশের মধ্যে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে ক্রেমলিন থেকে বলা হয়েছে, যুদ্ধরত আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের প্রতি যত দ্রুত সম্ভব পুরোপুরি যুদ্ধ বন্ধ, উত্তেজনা প্রশমন এবং সর্বোচ্চ ধৈর্য্য প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন পুতিন ও ম্যাক্রন। এ বিষয়ে ম্যাক্রনের উদ্যোগে দুই নেতার মধ্যে টেলিফোনে কথা হয়েছে। এতে তারা ওএসসিই মিন্স্ক গ্রুপের কাঠামোর অধীনে আরও সহযোগিতার সুদৃঢ় ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯০ এর দশকে যখন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যায় তখন আজারবাইজান থেকে আলাদা হয়ে যায় আর্মেনিয়া। তখন থেকেই কারাবাখ আর্মেনিয়ার একটি জাতিগত প্রদেশ। কিন্তু আজারবাইজান একে নিজেদের ভূখন্ড বলে দাবি করে এবং তা নিয়ে দু’পক্ষই অনেক বছর ধরে লড়াই করে আসছে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে দু’দেশই। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন যে, কারাবাখ থেকে আর্মেনিয়া তার পুরো সেনাবাহিনীকে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তার সেনারা সেখানে যুদ্ধ চালিয়েই যাবে। তিনি বুধবার আহত সেনাদের দেখতে গিয়ে বলেন, যদি আর্মেনিয়া সরকার আমাদের পুরো দাবি মেনে নেয় তাহলেই যুদ্ধ এবং রক্তপাত থামবে। এ এলাকায় শান্তি ফিরবে। অন্যদিকে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনইয়ান বলেছেন, তীব্র শত্রুতা যখন চলছে তখন মধ্যস্থতা নিয়ে কথা বলার উপযুক্ত সময় নয়। ওদিকে আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভানে সেনাবাহিনীতে লোক নিয়োগ কেন্দ্রের বাইরে ডজন ডজন মানুষের ভিড়। তারা ওই যুদ্ধে অংশ নিতে আগ্রহী। আবার কারাবাখের নেতা আরায়িক হারাতুনইয়ান বুধবার বলেছেন, আমাদেরকে দীর্ঘ মেয়াদী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।