ব্রিট বাংলা ডেস্ক : বরগুনার আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত)-র কক্ষ থেকে এক সন্দেহভাজন আসামির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সকালে ওই মরদেহ দেখতে পেয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশারকে জানান থানার ডিউটি কনস্টেবল আল মামুন। পরে বিষয়টি জানানো হয় বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেনকে। তিনি ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে। তার পর পরই বরগুনা জেলার শীর্ষ পুলিশ কর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভীন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী।
জানা গেছে, গত বছরের ৫ নভেম্বর আমতলী উপজেলার গুশিয়াখালী ইউনিয়নের কলাগাছিয়ার গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে ইব্রাহিম নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি পেশায় ছিলেন একজন গরু ব্যবসায়ী। সেই হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় আটক করা হয় শানু হাওলাদার (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে। আজ সকালে আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনোরঞ্জন মিস্ত্রির অফিস কক্ষে মিলল তার ঝুলন্ত মরদেহ।বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। এই ঘটনায় যাঁর কক্ষে ওই ব্যক্তির মরদেহ পাওয়া গেছে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বরখাস্ত করা হয়েছে ডিউটি অফিসার এএসআই আরিফকে। ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তোফায়েল আহমেদকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মহরম আলী এবং সহকারী পুলিশ সুপার (আমতলী সার্কেল) রবিউল ইসলাম। এর মধ্যেই মরদেহের সুরতহাল করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তি একটি হত্যা মামলার সংযুক্ত আসামি ছিলেন বলেও উল্লেখ করেন বরগুনা পুলিশের এই শীর্ষ কর্তা।