পুলিশ সদস্যকে মারধর করায় আ.লীগ নেতাসহ আটক ৫

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: পুলিশের এক সদস্যকে মারধরের অভিযোগে যশোর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহমুদ হাসানসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। ওই নেতাদের মুক্তির দাবিতে আজ মঙ্গলবার যশোর-চুকনগর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

এদিন সকাল ৯টা থেকে কেশবপুর শহরেও সড়ক অবরোধ করে রাখেন নেতাকর্মীরা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমিনের নেতৃত্ব দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখায় দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে যশোর শহরের পুরোনো কসবা এলাকার শহীদ মিনারে সাদাপোশাকে পুলিশের দুই সদস্য ও তাদের বন্ধুরা বসে গল্প করছিলেন। এ সময় স্থানীয় কয়েক যুবক তাদের সেখান থেকে উঠে যেতে বললে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে এক পুলিশ সদস্য বেদম মারধরের শিকার হন। এ ঘটনায় পুলিশ রাতেই মাহমুদ হাসানসহ পাঁচজনকে আটক করে।

এ ব্যাপারে যশোরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করা যাচ্ছে না।’

জানা গেছে, রাত আটটার দিকে পুলিশ লাইনসে কর্মরত কনস্টেবল ইমরান পুরোনো কসবা এলাকার শহীদ মিনারে বসে এক নারীর সঙ্গে গল্প করছিলেন। এ সময় ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতাকর্মী সেখানে গিয়ে তাদের ওপর চড়াও হন। নিজের পরিচয় ও পরিচয়পত্র দেখিয়ে পুলিশ কনস্টেবল ইমরান এর প্রতিবাদ করেন। কিন্তু এতেও তারা নিবৃত্ত না হয়ে ইমরানকে শহীদ মিনার থেকে ধরে নিয়ে যান আবু নাসের ক্লাবে। সেখান থেকে রিকশার পাদানিতে বসিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় কাঁঠালতলায়। সেখানে নিয়ে ইমরানকে বেদম প্রহার করা হয়।

জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার একজন সদস্য বলেন, ওই ঘটনার সময় সেখানে আসেন শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান। তিনি এ সময় পুলিশ কনস্টেবলকে কোনো কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে দলবলসহ তাকে কাঁঠালতলায় নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে পুলিশ কনস্টেবল ইমরানকে মারধর করা হয় বলে শোনা যায়।

যশোর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান বলেন, শহীদ মিনার এলাকায় সাদাপোশাকে দুজন পুলিশ সদস্য দুই নারীকে নিয়ে ‘ঘনিষ্ঠ’ অবস্থায় বসে ছিলেন। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন তাদের মারধর করে। হট্টগোল দেখে পাশের শেখ আবু নাসের ক্লাবে থাকা মাহমুদ হাসান গিয়ে মীমাংসার চেষ্টা করেন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে তাকে নিয়ে যায়। পুলিশকে মারপিটের ঘটনায় মাহমুদ জড়িত নন বলেও তিনি জানান।

Advertisement