প্রচণ্ড গরমে ব্রিটেনে চার দিনের রেড এলার্ট জারি

ব্রিটেনে কয়েকটি অংশে চার দিনের চরম তাপমাত্রার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণ ও মধ্য ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের কিছু অংশের জন্য এই সতর্কতা। আবহাওয়া অফিসের জারি করা চার দিনের অ্যাম্বার সতর্কতার অর্থ; এ তাপমাত্রায় দুর্বল মানুষের স্বাস্থ্য ঝুকি রয়েছে এবং ভ্রমণ ব্যাহত হতে পারে। ১৯৩৫ সালের পর থেকে জুলাই ইংল্যান্ডে সবচেয়ে শুকনো মাস ছিল। ১৮৩৬ সালে রেকর্ড রাখা শুরুর পর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এবং মধ্য দক্ষিণ ইংল্যান্ডে সবচেয়ে শুষ্ক মাস ছিল জুলাই। আর তাই খরার আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠছে।এদিক ইউনির্ভার্সিটি কলেজ লন্ডনের একটি গবেষনায় বলা হয়েছে, চলতি গরমে ইউরোপ ও ইউকে জুড়ে ৬০ শতাংশ বনায়নে আগুন ধরার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে এমন শুস্ক আবহাওয়ার জন্য। স্যাটেলাইটে দেখা গিয়েছে সাউথ ইস্ট ব্রিটেনে বেশির ভাগ জায়গায় সবুজেয়ান একদম রোদের কারনে পুড়ে গিয়েছে।বর্তমানের এই পরিস্থিতি আজ থেকে ৪ দিন থাকবে। যেখানে ব্রিটেনের অনেক জায়গায় তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘর অতিক্রম করবে। আর এই চারদিন ব্রিটেনে তাপমাত্রার কারনে হলুদ সতর্কবার্তা প্রদান করা হয়েছে।

মেট অফিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত তাপমাত্রার এই অবস্থা থাকবে। এই তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে আসছে শনি ও রবিবার বেশ কিছু জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটতে পারে।তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ট্রেন চালচল ব্যহত হওয়াসহ স্বাভাবিক জীবন যাপনের উপর ব্যপক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এই সব বিষয়ে সতর্ক হয়ে সামনের কয়টা দিন চলাচলের জন্য বলা হয়েছে।এছাড়া এই সময়ে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে ক্লান্তি এবং অন্যান্য অসুস্থতার লক্ষণগুলোর জন্য মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।আবহাওয়া অফিস বলেছে যে কাজের সময় এবং দৈনন্দিন রুটিনে কিছু পরিবর্তন আনা লাগলে তা আনতে বলা হচ্ছে।এই সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়েছে, এই সময়ে আরও বেশি লোক উপকূলীয় অঞ্চল, হ্রদ, নদী এবং অন্যান্য সৌন্দর্যের স্থানগুলোতে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যা তাদের সুরক্ষা এবং অগ্নি সংক্রান্ত ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়া সড়ক, রেল এবং বিমান ভ্রমণে কিছু বিলম্ব হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। এই সময়ে স্বাস্থ্যগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের বাসায় থাকার জন্য বলা হচ্ছে।আবহাওয়া অফিস থেকে বলা হয়েছে, ১৮৩৬ সালে আবহাওয়া রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে দেশের কিছু অংশ এমনকি আনুষ্ঠানিকভাবে সবচেয়ে শুষ্কতম মাসের রেকর্ড হয়েছে গত জুলাই মাসে। এই সবই পরিবেশ, কৃষিকাজ এবং পানি সরবরাহের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে এবং প্রভাবিত করেছে দাবানলকে।

Advertisement