সিলেট অফিস :: ট্রফি হাতে সিলেট অধিনায়ক অলক, ইনসেটে ম্যাচসেরা রুয়েল মিয়াপ্রথম ইনিংসে তার শিকার ছিল ৮ উইকেট। বল হাতে রুয়েল মিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে নিলেন পাঁচ উইকেট। আর ১৮ বছর বয়সী পেসারের রেকর্ডগড়া নৈপুণ্যে জয় নিয়ে আসরের প্রথম স্তরে উঠলো সিলেট বিভাগ। গতকাল জাতীয় ক্রিকেট লীগের (এনসিএল) দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে ৯ উইকেটে জয় কুড়ায় সিলেট বিভাগ। দুই ইনিংসে সিলেটের বাঁহাতি পেসার রুয়েলের শিকার ১৩ উইকেট। ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কোনো পেসারের এক ম্যাচে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড এটি। তার তোপে চট্টগ্রামকে দুই দিনেই হারিয়ে দিলো সিলেট। দ্বিতীয় স্তরে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সিলেট উঠে গেলো প্রথম স্তরে।
গতকাল দ্বিতীয় ইনিংসে চট্টগ্রাম গুটিয়ে যায় ১৬৫ রানে।
সিলেটের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪২। ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেনের উইকেট হারিয়ে ৬ ওভারের মধ্যেই সেই রান তুলে ফেলে অধিনায়ক অলক কাপালির দল। প্রথম ইনিংসে ২৬ রানে ৮ উইকেট নেয়া রুয়েল দুই ইনিংস মিলিয়ে ৬৫ রান খরচায় পেয়েছেন ১৩ উইকেট। দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে কোনো পেসারের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের আগের রেকর্ডটি ছিল আল আমিন হোসেনের। ২০১১ সালে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৮৯ রান খরচায় ১২ উইকেট নিয়েছিলেন খুলনার হয়ে। আগের দিন রুয়েল রেকর্ড গড়েন ইনিংস সেরা বোলিং নৈপুণ্যে। এতে তিনি ভাঙেন সাবেক পেসার তালহা জুবায়েরের রেকর্ড।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে গতকাল নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটে ১৮৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে সিলেট, লিড ছিল ৮০ রানের। সেই লিড এরপর আর খুব বেশি বড় হয়নি। আগের দিন চার উইকেট পাওয়া চট্টগ্রামের পেসার ইফরান এদিন নেন আরও দুটি। রেজাউর রহমানকে ফিরিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো পান পাঁচ উইকেটের স্বাদ নেন ইফরান। আর রুহেলকে ফিরিয়ে ২৩০ রানে গুটিয়ে দেন সিলেটকে। ২২ ওভারে ৯৫ রান খরচায় ৬ উইকেট নেন ইফরান। ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন রাহাতুল ফেরদৌস। ১২৪ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে নামা চট্টগ্রাম এবারও শুরুতেই ধাক্কা খায়। প্রথম ওভারে ইমরান আলির বলে ফেরেন ওপেনার পিনাক ঘোষ। আগের ইনিংসে ৮ উইকেট নেওয়া রুহেল আঘাত হানেন নিজের প্রথম ওভারেই। ফিরিয়ে দেন আলভি হককে। চতুর্থ উইকেটে ইরফান শুক্কুরের সঙ্গে সাদিকুরের ৬৩ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে চট্টগ্রাম। ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিংয়ে ৬১ বলেই ফিফটি তুলে নেন সাদিকুর। তবে যেতে পারেননি বেশিদূর। ৮২ বলে আটটি চারে ৬২ রান করে ফেরেন রান আউট হয়ে। আর হার নিশ্চিত হয় চট্টগ্রামের। আসরে ছয় ম্যাচে তিন জয় ও এক ড্রয়ে সিলেটের সংগ্রহ ৩৬.০৫ পয়েন্ট । জাতীয় লীগ রুয়েলের চেয়ে ভালো বোলিংয়ের রেকর্ড আছে কেবল আব্দুর রাজ্জাকের। ২০১১ সালে বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচে ১৯৩ রান খরচায় ১৫ উইকেট পেয়েছিলেন খুলনার অভিজ্ঞ এই বাঁহাতি স্পিনার।