প্রধানমন্ত্রীর দশটি উদ্যোগ পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ

দেশবাসীর উন্নত জীবন ধারনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দশটি উদ্যোগের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন জরুরী। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি দেশের সমৃদ্ধির জন্য এ সকল বিশেষ উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য সকল সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সংশ্লিষ্ট এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের এগিয়ে আসতে হবে এবং এক যোগে কাজ করতে হবে। এখানে গতকাল ’প্রধানমন্ত্রীর দশটি উদ্যোগ’ শীর্ষক দিনব্যাপী বিভাগীয় কর্মশালায় বক্তৃতাকালে বিশেষজ্ঞগণ ও সরকারি কর্মকর্তারা এ মন্তব্য করেন। বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাপনি অধিবেশনে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে জিআইইউ মহাপরিচালক ড. আব্দুল লতিফ ফোকালপার্সন হিসাবে বক্তব্য রাখেন। অতিরিক্ত কমিশনার এএনএম মঈনুল ইসলাম দশটি উদ্যোগের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক আব্দুল বাতেন, রাজশাহী মেট্রোপলিটান পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিকি এবং জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মদ্যে বক্তব্য রাখেন। পৃথক দশটি আলোচনায় প্রায় এক’শ জন আলোচক অংশ নেন। তারা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে কি ভাবে দশটি উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা যায়, তার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। সচিব কবির বিন আনোয়ার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিজস্ব চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নের আহবান জানান। তিনি বলেন, যদি আমরা দশটি উদ্যোগের শত ভাগ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হতে পারি, তবে ২০৩০ সালের মধ্যেই আমরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অজর্নে সক্ষম হব। তিনি আরও বলেন, দশটি উদ্যোগ এবং এসডিজি’র মধ্যে পারস্পরিক মিল রয়েছে। তিনি বলেন, এই উদ্যোগগুলো ইতোমধ্যেই বাস্তবান প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

Advertisement