প্রেম এবং বিয়ে কাহিনী নিয়ে বরিস জনসনের মাথায় হাত

নেতৃত্ব পাবার আগে সংসার রক্ষায় ব্যর্থ বরিসের মাথায় হাত

ব্রিটবাংলা ডেস্ক : সাবেক লন্ডন মেয়র বরিস জনসনকে অনেকেই ভবিষ্যত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিবেচনা করেন। ইইউ রেফারেন্ডামের পর টোরির নেতৃত্ব নিয়ে কথা উঠলেই বরিস জনসনের নাম উচ্চারিত হয়। সদাহাস্যজ্জল বরিস, সব সময় মজা করেন। বরিসের রাজনৈতিক জীবন বেশ মজার ও কৌতুক মিশ্র। কিন্তু তার ব্যক্তিগত জীবন কেমন? এতোদিন বেশ কিছু বিষয় গোপন থাকলেও গত সপ্তাহে ২৫ বছরের বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণার পর বেরিয়ে আসছে বরিস জনসনের ব্যক্তিগত জীবনের নারী গঠিত বেশ কিছু বিস্ময়কর কাহিনী।

এই মহিলাই বরিসের বারটা বাজিয়েছেন

স্ত্রী ব্যারিষ্টার মেরিনা উইলের সঙ্গে ২৫ বছরের সংসার জীবন বরিস জনসনের। চার জন সন্তান তাদের। এরমধ্যেই গত সপ্তাহে দৈনিক সানে সংবাদ প্রকাশ করে বলা হয়, বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেরিান-বরিস। এই ঘোষণার আগে তারা বেশ কয়েক মাস আলাদা বসবাস করেছেন। আর বিচ্ছেদের পেছনে অন্যএকজন মহিলা রয়েছেন বলেও সানের সংবাদে উল্লেখ করা হয়। বরিস জনসনের এটিই প্রথম বিয়ে ছিল না এবং স্ত্রী মেরিনা উইল-ই তার জীবনে প্রথম নারী ছিলেন না।

বরিস জনসনের প্রথম স্ত্রীর নাম এ্যালাগ্রা মাইস্টান ওয়েন

প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিয়ে হয় ১৯৮৭ সালের ৫সেপ্টেম্বর। এরপর ১৯৯০ সালে তারা আলাদা হয়ে যান। তারপর পরিচয় হয় দ্বিতীয় স্ত্রী মেরিনা উইলের সঙ্গে। ১৯৯৩ সালে ২৬ এপ্রিল প্রথম স্ত্রী এ্যালাগ্রার সঙ্গে ডিভোর্স চুড়ান্ত হয়।

দ্বিতীয় স্ত্রী ব্যারিষ্টার মেরিনা উইলের সঙ্গে বরিস জনসন

১৯৯৩ সালের ৮ মে এসেক্সের হারশামে দ্বিতীয় স্ত্রী মেরিনাকে বিয়ে করেন বরিস। এরপর দীর্ঘ বিরতী দিয়ে ২০০৪ সালে ২৯ শে অগাস্ট আবার বরিস জনসনের রোমান্সের খবর প্রকাশ করে মেইল অন সানডে। এক সংবাদে বলা হয়, অক্সফোর্ড ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ২০ বছর বয়সী রুজওয়ানা বাশিরের সঙ্গে বরিস জনসনের বিশেষ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করা হয়।

রুজওয়ানা বাশির

২০০৪ সালের ৭ নভেম্বর দৈনিক মিরর আরেক ব্রেকিং নিউজ প্রকাশ করে বরিস জসনের রোমান্স নিয়ে। খবরে দাবী করা হয়, সমাজবিদ পেট্টোনেলা ওয়েটের গর্ভে বরিস জনসনের বাচ্চা রয়েছে। তবে বরিস বাচ্চাকে সমর্থন করবেন না বলে জানিয়েছেন। এরপর পেট্টোনেলা এবর্শন করিয়েছেন। বরিস এবর্শন এবং মেডিকেল ব্যয় পরিশোধেও অস্বীকৃতি জানান বলে ওেই সংবাদে উল্লেখ করা হয়। যদিও বরিস জনসন ওই সংবাদের দাবীকে অস্বীকার করেছিলেন।

পেট্টোনেলা ওয়েট

আনা ফ্যাজাকারলী নামে এই সাংবাদিকের সঙ্গেও বরিস জনসনের বিশেষ সম্পর্ক ছিল বলে ২০০৬ সালের ২ এপ্রিল নিউজ অব দ্যা ওয়ার্ল্ডের এক সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছিল

সানের ভাষ্য অনুযায়ী বরিসের সর্বশেষ স্বপ্ন কন্যা ৩০ বছর বয়সী ক্যারি সাইমন্ড

বিশেষ মুহুর্তে বরিস জনসন এবং সাইমন্ডস

রিস জনসের বর্তমান বয়স ৫৪ বছর। ব্যারিষ্টার মেরিনা উইলের সঙ্গে চার সন্তানের জনক তিনি। তাদের ২৫ বছরের সংসারে তান্ডব নিয়ে এসেছেন টোরি পার্টির কমিউনিটিকেশন ডাইরেক্টর ক্যারি সাইমন্ড। প্রায় দশ বছর ধরে তিনি টোরির বিভিন্ন পদে কাজ করে আসছেন। তবে বরিস জনসনের সঙ্গে ঘনিষ্টতা প্রকাশের পর পার্টি থেকে তার চাকুরী হয়তো চলে যাবে। এদিকে বরিস জনসনের ডিভোর্সের জন্যে সোমবার স্ত্রী মেরিনা ফাইল তৈরী করেছেন বলে জানা গেছে।

 

Advertisement