সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ওয়ানডে ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এছাড়া একাদশে এসেছে দুই পরিবর্তন। ফিরেছেন মোস্তাফিজুর রহমান এবং নুরুল হাসান সোহান। জিম্বাবুয়ের হারারে ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে।সিরিজের একমাত্র টেস্ট ম্যাচে ব্যাটে-বলে দ্যুতি ছড়িয়েছেনে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। সেই ধারাবাহিকতা ছিল প্রথম দুই ওয়ানডে ম্যাচেও। প্রথম ম্যাচে লিটন দাসের সেঞ্চুরি এবং দ্বিতীয় ম্যাচে সাকিব আল হাসানের অপরাজিত ৯৬ রানের ইনিংসে ২-০ সিরিজে এগিয়ে রাসেল ডোমিঙ্গোর শিষ্যরা। তবে শুধু ব্যাটিংয়েই নয়, বল হাতেও বোলারদের পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতোই।
প্রথম দুই ম্যাচে প্রত্যাশী ফলাফলের পর এবার তৃতীয় ম্যাচেও জয়ে চোখ বাংলাদেশের কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর। এ ম্যাচে জয় তুলে নিয়েই স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দিতে চাইছেন তিনি। আর তাই ব্যাট হাতে এবার তামিম-সাকিব-মাহমুদউল্লাহদের জ্বলে উঠতে হবে। আর উদীয়মান ব্যাটসম্যানদেরও দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে।
প্রথম দুই ম্যাচে মেহেদী হাসান মিরাজ খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। শেষ ওয়ানডেতে তার কাছে প্রত্যাশা অনেক। এই ম্যাচে নিজেকে আরও একবার সেরা প্রমাণ করার সুযোগ থাকছে। এছাড়া দাপুটে বোলিংয়ের মাধ্যমে স্বাগতিকদের চেপে ধরার সক্ষমতা রয়েছে বাংলাদেশি পেসারদেরও। আর সাকিবের ঘূর্ণি তো থাকছেই।ইতোমধ্যেই তামিমরা সিরিজ জিতলেও জিম্বাবুয়েকে ছেড়ে কথা বলার কিছুই নেই। কেননা ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে ম্যাচ জিতেই ওয়ানডে সিরিজ শেষ করতে চাইবে। আর ঘরের মাঠে বরাবরই শক্তিশালী তারা। ব্যাট হাতে ব্রেন্ডন টেলর, রেগিস চাকাভা এবং ওয়েসলি ম্যাধভেরেরা যে কোনো সময়ই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার যোগ্যতা রাখেন।আর বোলিংয়ে তাদের রয়েছেন ব্লেসিং মুজারাবানি এবং টেন্ডাই চাতারারা। তাই ব্রেন্ডন টেলরদের হোয়াইটওয়াশ করতে হলে দলীয় পারফরম্যান্সের কোনো বিকল্প নেই।উল্লেখ্য, দুদলের ওয়ানডে পরিসংখ্যানে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ দল। একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে দুদল মুখোমুখি হয়েছে মোট ৭৮ বার। যেখানে ৫০টি ম্যাচেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। অন্য দিকে জিম্বাবুয়ে জিতেছে মাত্র ২৮টি ম্যাচে।