ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: সিনিয়র একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালে হত্যা করা পলাতক ৫ আসামীর অন্যতম রিসালদার মোসলেহউদ্দিন খানকে উত্তর ২৪ পরগণা জেলা থেকে তুলে নিয়েছে নিরাপত্তা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। ওই কর্মকর্তা বলেছেন, বনগাঁও থেকে কয়েকদিন আগে গ্রেপ্তার করা হয় মোসলেহউদ্দিনকে। তাকে ২০০৯ সালে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে বাংলাদেশের আদালত। ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘ক্লোজড ম্যাসেজিং গ্রুপের’ মধ্যে তার ছবি বিনিময় হয়। এতে কিছুটা সংশয় দেখা দেয়। তাকে এরই মধ্যে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয়া হয়ে থাকতে পারে। তবে বাংলাদেশ থেকে তার পরিচয়ে বিষয়ে নিশ্চয়তা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছিল।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যারা গুলি করেছিল তার মধ্যে ছিল মোসলেহউদ্দিন। এ জন্য তাকে শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে। পর পর দ্রুত এসব পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তারের দ্বিতীয় শিকার সে। রিপোর্টে বলা হচ্ছে, বনগাঁতে ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক ওষুধ বিক্রি করতো সে। অন্যজন আবদুল মাজেদকে কয়েক সপ্তাহ আগে গ্রেপ্তার করা হয়। সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বরখাস্ত হওয়া একজন সাবেক ক্যাপ্টেন। বহু বছর ধরে সে ভারতে বসবাস করতো। তাকে সম্প্রতি তুলে নেয়া হয় এবং বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর পর পরই তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যায় অংশ নিয়েছিল এমন আরো চারজন আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম ও এম রাশেদ চৌধুরীকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায় নি। ওদিকে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ১১ জন খুনি ও মোসলেহউদ্দিনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট মৃত্যুদন্ডের শাস্তি বহাল রাখে ২০০৯ সালে। ২০১০ সালের ২৭ শে জানুয়ারি তার মধ্যে ৫ জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। নির্বাসনে মারা গেছে একজন।