আজ তাহেরি আংকেলের সুরে বলি, বিয়ানীবাজারের আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গঠন নিয়ে কিছু ‘কইতাম নি ? কইতামনি ? ফাম দিস না; ফাম দিস না; তোদের ছোটদের ফামে আমি শেষ।’ আসুন তাহলে এবার তাহেরি আংকেল নয়, আমার কথাই বলি —
১৯৬৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপস্থিতিতে এমএ আজিজকে সভাপতি ও আব্দুল মতিনকে সাধারণ সম্পাদক করে বিয়ানীবাজার উপজেলার প্রথম আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়। আমার চাচা মরহুম আবদুল মতিন ছিলেন বিয়ানীবাজার আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক।আমাদের নজিব ফার্মেসিই ছিল বিয়ানীবাজার আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন কার্যালয়।বঙ্গবন্ধু দফায় দফায় বিয়ানীবাজার এসেছিলেন সাংগঠনিক কাজে।বঙ্গবন্ধু বিয়ানীবাজার এলেই আমাদের ফার্মেসির অফিসে আড্ডা দিতেন। দলীয় নেতাদের সঙ্গে ছিল হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক। মুখস্থ ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রিয় আজিজ , মতিন, আকাদ্দস সিরাজ , ফৈয়াজ , ওয়াহিদ , রাজ্জাক , খালিক সাহেবদের নাম l সেই বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিধন্য বিয়ানীবাজার উপজেলায় বর্তমান আওয়ামী লীগ এখন তছনছ! এখানে ১৭ বছর পার হলেও নতুন কমিটি হয় না!! যুবলীগ, ছাত্রলীগের কমিটি করার জন্য কারো কোন মাথাব্যথা নেই!!! ত্যাগীরা এখন সংগঠন থেকে অনেক দূরে। কেউ কেউ বহিষ্কার হয়েছেন। ক্ষোভে, দুঃখে ও অপমানে কেউ কেউ দল ছেড়েছেন। আবার অনেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে আছেন তাদেরকে চরম অবমূল্যায়ন, হয়রানি ও কোণঠাসা করে রাখার কারণে। এসবের একটাই কারণ,আওয়ামী লীগ করতে হলে নাকি কমিউনিস্ট নেতা নুরুল ইসলাম নাহিদের আস্থাভাজন হতে হবে l যার ফলশ্রুতিতে তখনকার সময়ের বিয়ানীবাজারের আওয়ামী লীগ নেতাদের মত মেধা ও গুণগত মানসম্পন্ন একজন আওয়ামী লীগার বর্তমান বিয়ানীবাজার আওয়ামী লীগে নেই l বর্তমানে আ’লীগের মধ্যে প্রগতিশীল নেতৃত্ব নেই বললেই চলে l
আসছে অাসন্ন বিয়নীবাজার উপজেলা অাওয়ামী লীগের সম্মেলনে এখন পর্যন্ত সম্ভাব্য প্রার্থীগনের মধ্যে প্রায় সবাই MP নাহিদের অনুসারী! গুটিকয়েক নেতাদের দিয়ে আসল আওয়ামী লীগারদের জিম্মি রাখার তৎপরতা চলছে!!পুরনো বোতলে নতুন মদ নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে! অবাক হচ্ছেন? চক্রের খেলা দেখতে আর মাত্র কিছুদিন অপেক্ষা করুন l
রাজনীতিতে অর্থ ও আঞ্চলিকতার প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় ত্যাগী ও নিবেদিত নেতা-কর্মীরা বিভ্রান্ত । বিয়ানীবাজার আওয়ামী লীগের রাজনীতি কি এভাবেই চলতে থাকবে ? আমাদের কি কোন দায়ভার নেই ? যারা দীর্ঘ দুই যুগ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন তারাও কি চাইবেন না দলে নতুন নেতৃত্ব আসুক ? তারা যদি না চান তাহলে সহজেই অনুমেয় যে তারা দলের প্রতি কতটা আন্তরিক !
আমি চাই দলে নতুন নেতৃত্ব আসুক যেমন —
ভোরের সূর্য নিয়ে আসে নূতন দিন,
রাতের ফুল ঝড়ে পড়ে ভরে যায় গাছ আবার নতুন ফুলে,
পাখী গেয়ে ওঠে নতুন সুরে,
তোমার অন্তরে কি বেজে ওঠেনা নতুন তান?
—নতুন নেতৃত্বের কথা বলতেই আপনারা হয়তো জিজ্ঞেস করবেন, কাকে আমি সভাপতি হিসেবে দেখতে চাই ? সহজ উত্তর আমার পছন্দের শীর্ষে রয়েছেন তৃণমূলের মতামতের ভিক্তিতে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, কর্মী-জনবান্ধব, আর্দশিক ও জনপ্রিয় নেতৃত্ব আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত স্বপ্ন যাকে দিয়ে পূরণ করতে চায় তিনি হচ্ছেন জনাব নজমুল ইসলাম l যিনি ১৯৮০-৮১ শিক্ষাবর্ষে বি বাজার কলেজের ভিপি। ১৯৯১-৯৭ বি বাজার উপজেলা যুবলীগ সভাপতি l ২০০৩ পর্যন্ত উপজেলা আঃ লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং ২০০৪ থেকে এখন পর্যন্ত সাংগঠনিক সম্পাদক l একে বারে তৃণমূল থেকে উঠে আশা নজমুল ভাই ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মীর কাছে আস্থার প্রতিক l তাই আসুন বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিধন্য বিয়ানীবাজার উপজেলায় নতুন প্রজন্মকে নিয়ে আমরা শুরু করি আমাদের ক্যাম্পেইন l অাসন্ন বিয়নীবাজার উপজেলা অাওয়ামী লীগ এর সম্মেলনে নজমুল ভাইকেই একমাত্র সভাপতি প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করি এবং শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য বিয়ানীবাজারের সোনালী অধ্যায়ের সকল আওয়ামী লীগ নেতাদের l দোআ করি মহান আল্লাহর কাছে , আল্লাহ যেন সকলকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসিব করেন l
সবশেষে তাহেরি আংকেলের মত জিজ্ঞেস করি ‘কথা কি ক্লিয়ার নাকি ভেজাল আছে? আমি কি কাউকে গালি দিয়েছি? কারো সম্পর্কে বাজে বলেছি। তারপরও চক্রের লোকেরা বলবে,আমি ভালো না। আমিও তাদেরকে বলি, আমি তো ভালা না, ভালা লইয়া থাইকো।’
(আহমেদ মোস্তাক এর ফেইসবুক থেকে)