বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি জানায়, চীনা নাগরিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। টাকার কারণেই তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে এই দুই নিরাপত্তাকর্মী। তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ১৯ হাজার নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ১১ ডিসেম্বর (বুধবার) দুপুরে রাজধানীর বনানী এলাকার ‘এ’ ব্লকের ২৩ নম্বর সড়কের ৮২ নম্বর বাসা থেকে ঝাউ জিয়ান হুই নামের ঐ চীনা নাগরিকের লাশ মাটি খুঁড়ে উদ্ধার উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে হত্যার পর লাশ মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল। লাশের মাথার চুল ও দুই পায়ের গোড়ালি মাটির বাইরে বেরিয়ে ছিল। তিনি ঐ বাসারই ৬ষ্ঠ তলার ৬-বি নম্বর ফ্ল্যাটে থাকতেন। নিহত চীনা নাগরিক পদ্মা সেতুতে পাথর সরবরাহের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশে চীন থেকে কাপড় আমদানি করতেন। ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
জিয়াংহুই হত্যাকাণ্ডে বনানী থানায় হত্যা মামলা করেছেন আরেক চীনা ব্যবসায়ী জং সু হং। তিনি সুমেক লিয়াজোঁ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর। পুলিশের পাশাপাশি মামলার ছায়া তদন্ত করছে মহানগর গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি)।