ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জনের পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ডেনিশ বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের জন্য অপার সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে।
মঙ্গলবার ডেনমার্কের বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে স্থানীয় এশিয়া হাউসে এক সেমিনারে বক্তারা এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশের এ অর্জন ডেনমার্কের জন্য কতটা অর্থবহ, তা জানতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসা বাণিজ্যে আগ্রহী উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ডেনিশ বিনিয়োগকারী ও বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী, প্রবাসী বাংলাদেশী উদোক্তা, সুশীল সমাজ ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি, কূটনীতিক ও উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন এশিয়া হাউসের নির্বাহী পরিচালক, এ্যাম্বাসাডর সুসান হার্ক্কাপ। উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উত্তরণের পথে বাংলাদেশের অসাধারণ অর্জন নিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব-এর একটি প্রশংসাসূচক ভিউিও বার্তা অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রদর্শন করা হয়। জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থা ইউএনডিপি-র নরডিক অ লের পরিচালক কামিলা ব্রুক্নার তাঁর মূল প্রবন্ধে জাতিসংঘের সর্বাত্মক সহযোগিতায় বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে এই অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখার জন্য অধিকতর বেসরকারি বিনেয়োগ ও অন্তভুক্তিমূলক উন্নয়নের উপর জোর দেন। পরে, ডেনিশ বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান হেলডর টপসের জেষ্ঠ্য উপদেষ্টা এ্যাম্বাসাডর উলরিক ফেডেসপেল বাংলাদেশের ব্যবসা-বানিজ্যের সুযোগ ও পরিবেশ সম্পর্কে তাঁদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। ১৯৭৮ সাল থেকে হেলডর টপসে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে আসায় তাঁর বর্ননায় বাংলাদেশের ব্যবসা বানিজ্য সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা উপস্থিত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করে।
ডেনমার্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত বাংলাদেশের ক্রমবর্ধনশীল অর্থনীতির শক্তিশালী দিক এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা সংক্রান্ত একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন। উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উত্তরণে চুড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের অংশীদারী হওয়ার জন্য ডেনিশ বিনিয়োগকারীদের সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ, যৌথ বিনিয়োগ ও পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের আওতায় অধিকতর অংশগ্রহণের জন্য আহবান জানান। সবুজ প্রযুক্তিতে ডেনমার্কের অনন্য অভিজ্ঞতার প্রশংসা করে বাংলাদেশে এই খাতে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনার সুযোগ নেওয়ার জন্য ডেনিশ বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহবান জানান। পরে, একটি প্রানোবন্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে বক্তাগণ বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনা ও পরিবেশ সংক্রান্ত নানান জিজ্ঞাসার জবাব দেন।
Advertisement