সারাদেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৯৯ জনের মৃত্যু হয়ছে। এ নিয়ে করোনায় মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫ হাজার ৮৯৩ জন। একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৬৫১ জন, যা একদিনে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৯ লাখ ৮৯ হাজার ২১৯ জনে।বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৮৪৪ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৫৬ হাজার ৩৪৬ জন। সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬০৫টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩০টি, জিন এক্সপার্ট ৪৮টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৪২৭টি। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৮ হাজার ২৪টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৬ হাজার ৮৫০টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৮ লাখ ৬৬ হাজার ৬৮২টি।এতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৬২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৪১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬০ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৯৯ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৬৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৫ জন, খুলনা বিভাগে ৫৫ জন, বরিশাল বিভাগে ৩ জন, সিলেট বিভাগে ৫ জন, রংপুর বিভাগে ৯ জিন ও ময়মনসিংহে জন ১০ রয়েছেন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৪৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৪২ জন ও বাড়িতে ১২ জন মারা গেছেন।মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ১০৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৮ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের নিচে ৬ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৯ জন ও ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ২ জন রয়েছেন।এতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৪ হাজার ৩৩৪ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ৭৭ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ২ লাখ ৮ হাজার ৩৮ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৬৯৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৫৯ হাজার ৩৪৩ জন।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।