ব্রিটবাংলা ডেস্ক : ভুয়া বা মিথ্যা অভিযোগে দায়ের করা মামলা ঠেকাতে থানা বা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়ের করার সময় অভিযোগ দায়েরকারীর ন্যাশনাল আইডি কার্ড দেয়া বাধ্যতামূলক বলে আদেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের হাইকোর্ট। গত ১৪ জুন একটি রিটের শুনানিতে এই আদেশ দেওয়া হয়। রিট আবেদনটি করেছিলেন ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, চুরি-ডাকাতি, মানবপাচার, এসিড নিক্ষেপসহ নানা অভিযোগের ৪৯টি মামলার আসামী ঢাকার শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা একরামুল আসহান কাঞ্চন। মামলাগুলো অস্তিত্বহীন বাদীর মামলা দাবী করেন তিনি। এই রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট অভিযোগ দায়েরকারীর এনআইডি নাম্বার উল্লেখ করতে বলেন।
কিন্তু হাইকোর্টের এই আদেশের পর এ নিয়ে প্রবাসীদের মধ্যে ভয়-ভীতি ছড়িয়ে পড়ছে। তাই হাইকোর্টের আদেশটি পর্যালোচনার দাবী জানিয়েছেন ইউকে প্রবাসী আইনজীবি এবং ক্যাম্পেইনাররা।
দেশে ভুয়া এবং হয়রানীমূলক মামলার সংখ্যা কমাতে হাইকোর্টের আদেশটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে প্রবাসী আইনজীবিরা একে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে এই আদেশের ফলে প্রবাসীরা যাতে পাল্টা হয়রানীর শিকার না হন এ বিষয়টি বিশেষভাবে নজরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ব্যারিষ্টার সাইফ উদ্দিন খালেদ। রায়ের ফলে প্রবাসীদের পাল্টা হয়রানীর যে আশঙ্কা তৈরী হয়েছে তা দূর করতে ন্যাশনাল আইডি কার্ডের জায়গায় পাসপোর্ট ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ার কথা বলেন ব্যারিষ্টার নাজির আহমদ। ন্যাশনাল আইডির কার্ডের চাইতে পাসপোর্ট আরো শক্তিশালি বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ব্যারিষ্টার নাজির আহমদ আরো বলেন, পুলিশ ভ্যারিফিকেশন, জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেটসহ সব ধরনের তথ্য যাচাই শেষে পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। পাসপোর্টধারীর পিতা, মাতার নাম, গ্রাম ঠিকানা এমনকি ফিঙ্গার প্রিন্টও থাকে পাসপোর্টে। সুতরাং কোনো অংশেই ন্যাশনাল আইডির চাইতে পাসপোর্ট ছোট নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ব্যারিষ্টার সাইফ উদ্দিন খালেদ আরো বলেন, সহায়-সম্পত্তি রক্ষাসহ নানা কারণে হয়রানীর শিকার হয়ে বিভিন্ন সময় দেশে গিয়ে প্রবাসীরা বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়ে থাকেন। কিন্তু সব প্রবাসীর পাসপোর্ট থাকলেও অনেকেরই ন্যাশনাল আইডি কার্ড নেই। দেশের বাইরে থাকা বাংলাদেশী নাগরিকদের ন্যাশনাল আইডি কার্ডের আওতায় নিয়ে না আসা পর্যন্ত মামলা-মোকাদ্দমাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ন্যাশনাল আইডি কার্ডের পরিবর্তে পাসপোর্ট ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে বৃহস্পতিবার আলতাব আলী পার্কে এক প্রতীকি মানব বন্ধন থেকে হাইকোর্টের আদেশ পর্যালোচনা করে ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সঙ্গে পাসপোর্ট সংযুক্তের দাবী করা হয়। একই সঙ্গে দাবী করা হয় এনআরবিদের জন্যে দ্রুত ন্যাশনাল আইডিকার্ড ইস্যুর। এসব দাবী নিয়ে শুক্রবার হাইকমিশনে একটি স্মারকলীপি দেবার কথাও জানান আয়োজকরা।
আনসার আহমদ উল্লার সভাপতিত্ব্ েএতে বক্তব্য রাখেন/ সিনিয়র কমিউনিটি এক্টিভিস্ট কে এম আবু তাহের চৌধুরী। প্রবাসীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ এই দাবীতে ক্যাম্পেইন অব্যাতহ থাকবে বলেও জানান তিনি।
সাংবাদিক আহাদ চৌধুরী বাবুর সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন ইউকে যুবলীগ নেতা জামাল আহমেদ খান, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের ট্রেজারার আসম মাসুম, সাংবাদিক জুয়েল রাজ, শাহ বেলাল, হেফাজেতুল করিম রাকিব, আবুল হাসনাত চৌধরীসহ আরো অনেকে।
বাংলাদেশে মামলা করার সময় বাদীর এনআইডি কার্ডের সাথে পাসপোর্ট বাদ্যতামূলক করার দাবী প্রবাসীদের
Advertisement