ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ডেলাওয়ারের উইলমিংটন থেকে এবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন; সেইখানেই তার সমর্থকরা উৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
শুক্রবার বাইডেনের সমর্থকদের দিন শুরু হয়েছিল কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের চূড়ান্ত ফলের ভাবনা নিয়ে; বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা অনেকটা লাঘব হয়েছে। ভোট গণনা শেষ না হওয়ায় ফল পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও; তবে উইলমিংটনে বাইডেনের বাড়ির কাছে ওয়েস্টিন হোটেলের বাইরে এরই মধ্যে সমর্থকদের উৎসব প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে।
সিকিউরিটি ব্যারিয়ার আর বাইডেন-হ্যারিস লেখা ক্যাম্পেইন সাইন বসিয়ে ইতিমধ্যে একটি জায়গা ঘিরে ফেলা হয়েছে, সেখানেই ভাষণ দেওয়া কথা রয়েছে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের। পার্কিং লটের বাইরে বহু মানুষ খবরের আশায় অপেক্ষা করছে। ইতিমধ্যে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তার আয়োজন।
পতাকাসজ্জিত একটি মঞ্চ প্রস্তুত হয়ে আছে সেই মঙ্গলবার ভোটের দিন থেকে। এরপর বুধবার গেল, বৃহস্পতিবার গেল, সেই মঞ্চ এখনও চূড়ান্ত লগ্নের অপেক্ষায়। ‘হবু প্রেসিডেন্টকে’সমর্থন জানাবেন বলে মেকানিকসবার্গ থেকে ছেলেকে নিয়ে উইলমিংটনে এসেছেন ৪০ বছর বয়সী টমাস কুনিস। গত রাত তাদের গাড়িতেই কেটেছে। এর আগে কুনিস শেষবার ভোট দিয়েছিলেন ২০০০ সালে, সেবার তার সমর্থন ছিল জর্জ ডব্লিউ বুশের জন্য।
পেনসিলভেইনিয়ার মত জর্জিয়াতেও রিপাবলিকান প্রার্থী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে টপকে গেছেন বাইডেন; এগিয়ে আছেন দেড় হাজারের বেশি ভোটে। কিন্তু দুই প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান ০.৫ শতাংশের কম হওয়ায় রাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী সেখানে পুনঃগণনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শুক্রবার দুই রাজ্যের ভোটের ফল বাইডেনকে চূড়ান্ত বিজয়ের অনেক কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার আভাস দিলেও ট্রাম্পের প্রচারশিবিরের একজন আইনজীবী এখনই পরাজয় মেনে না নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাদের নির্বাচন এখনও শেষ হয়ে যায়নি। অন্যদিকে বাইডেনের প্রচার শিবিরের একজন মুখপাত্র বলেছেন, প্রার্থীরা নয়, ভোটাররাই ঠিক করবে, ভোটের ফল কী হবে।