মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কোনো ধরনের সাক্ষাৎ করতে চান না ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। জয়ের পর সোমবার (২১ জুন) তেহরানে নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।রাইসি বলেছিলেন, ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল কর্মসূচি ও আঞ্চলিক মিলিশিয়াদের বিষয়েও বাইডেনের সাথে আলোচনায় রাজি নন তিনি।ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ১৩তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষের আশার প্রতিফলন হয়েছে। ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ডাকে সাড়া দেওয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। তাকে নেতা হিসেবে নির্বাচিত করায় ইরানের জনগণকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে নির্বাচনের আগে জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নেরও আশ্বাস দিচ্ছি।ইব্রাহিম রাইসির মতে, চলমান করোনা মহামারির মধ্যে ভোটকেন্দ্রে মানুষের আন্তরিক উপস্থিতি ইরানের মানুষের ঐক্য ও সংহতির প্রতীক। এছাড়া ইরান থেকে বৈষম্য, দারিদ্র্য ও দুর্নীতি দূর করার অঙ্গিকার করেন দেশটির নবনির্বাচিত এই প্রেসিডেন্ট।
২০১৮ সালে ইরানের ডেথ কমিশনে রাইসির ভূমিকার বিষয় উঠে আসে সংবাদ সম্মেলনে। ডেথ কমিশন জোরপূর্বক ভিন্নমতাবলম্বী বহু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিল। যেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন ইব্রাহিম রাইসি। এ প্রসঙ্গে আল জাজিরার সাংবাদিক আসাদ বেগের প্রশ্নের জবাবে রাইসি বলেন, মানবাধিকারের সবগুলো দিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছিলেন তিনি।২০১৫ সালের ১৪ জুলাই ভিয়েনায় স্বাক্ষরিত হওয়া ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত রাখার বিষয়টি নিয়েও কথা বলেন রাইসি। তিনি বলেন, চুক্তির শর্তগুলো মানা হবে, তবে যুক্তরাষ্ট্রকে আগে ইরানের ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে।২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে চুক্তি করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্য চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি। চুক্তিতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত রাখার প্রতিশ্রুতি দেয় ইরান।যদিও ২০১৮ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন এবং ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখেন। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ইরানও পারমাণবিক চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা শুরু করে।সূত্র : আল-জাজিরা, নিউইয়র্ক পোস্ট