ব্রিটবাংলা ডেস্ক : করোনা মহারামীর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকার দিয়ে বুধবার বাজেট ঘোষণা করেছেন চ্যান্সেলার ঋষি সোনাক। এবারের বাজেটের মূলবাণী ধরা হয়েছে স্প্যান্ড নাউ এবং পে লেইটার। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠার এই বাজেটের অদুরে কি আছে তা এখানো বুঝা যাচ্ছে না। তবে চ্যান্সেলার ঋষি সোনাক বলেছেন, করোনা মহামারী ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে যা, যা করার দরকার তিনি তাই করবেন।
২০২০-২১ অর্থ বছরের বাজেটে ফারলো স্কীম আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহাল রাখার ঘোষণা দিয়েছেন চ্যান্সেলার। একই সঙ্গে প্রায় ৬ লাখ সেল্ফ এমপ্লয়েডকে চতুর্থ দফায় গ্র্যান্ট এবং সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিটি পরিবারকে অতিরিক্ত সপ্তাহে ২০ পাউন্ড ইউনিভার্সেল ক্রেডিট আরো ৬ মাস বহাল রাখার ঘোষণাও দেন তিনি। এছাড়া হসপিটালিটি সেক্টরের জন্যে ৫ শতাংশ ভিএটি বহাল থাকবে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একই সঙ্গে বহাল থাকবে শতভাগ বিজনেস রেইট এবং স্ট্যাম্প ডিউটির হলিডে। আর হাইস্ট্রীট ব্যবসায় সহযোগিতার জন্যে সর্বোচ্চ ১৮ হাজার পাউন্ড করে রিস্ট্যার্ট গ্র্যান্টেরও ঘোষণা দেন চ্যান্সেলার। সব মিলিয়ে চলতি বছর প্রায় ৩শ ৫২ বিলিয়ন পাউন্ডের করোনা সাপোর্ট প্যাকেজের ঘোষণা দেন চ্যান্সেলার ঋণি সোনাক।
বাজেটে মাদক এবং তেল বিক্রির উপর কর স্থগিত রাখা হয়েছে। ঘোষণা করা হয়েছে ৯৫ শতাংশ মর্গেজ গ্যারান্টির। আর ন্যাশনাল ওয়েজ বাড়িয়ে ঘন্টায় ৮ দশমিক ৯১ পাউন্ড করা হয়েছে।
বাজেটকে স্বাগত জানিয়েছেন হাইস্ট্রীট ব্যবসায়ীরা। তবে বাজেটে সার্বিকভাবে পাবলিক স্প্যান্ডিংয়ের পরিমাণ কমেছে বলে মনে করছেন বিরোধীরা। কারো কারো মতে এটি কুইক ফিক্সড বাজেট।
তবে ২০২৩ সালের ভেতরে করপোরেশন ট্যাক্স ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার ঘোষণা দেন চ্যান্সেলার। আর ২০২৫ সাল থেকে ইনকাম টেক্স বাড়ানো হবে ১৯৬০ সালের চাইতেও বেশি।