ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ‘বিএনপি নয়, সরকারই আদালত অবমাননা করেছে। আদালতের আদেশ থাকা সত্ত্বেও খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টে নির্ধারিত দিনে উপস্থাপন না করে সরকার এবং অ্যাটর্নি জেনারেল আদালত অবমাননা করেছেন।’
আজ শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘৯০-এর ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল শুনানিতে গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে বিএনপি ও আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে চরম হট্টগোল হয়। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে এজলাস ছেড়ে চলে যান বিচারপতিরা। ওই ঘটনায় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালত অবমাননা করেছেন বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ নেতারা। ওই মন্তব্যে জবাবে আদালত অবমাননায় সরকারকেই দায়ী করেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, চিকিৎসকরা বলছেন খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। তাঁর স্বাস্থ্যের যে অবস্থা তাতে তাঁর প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় দেশনেত্রীর কিছু হলে এর দায় সরকার ও সরকারপ্রধানকে নিতে হবে। তিনি বলেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে বিএনপি চেয়ারপারসনকে সাজা দিয়েছে। তাকে এখন জোর করে আটকে রেখেছে। দেশবাসী এটি কিছুতেই মেনে নেবে না। ১২ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার জামিন না হলে বৃহত্তর গণআন্দোলন তৈরি করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ কখনই দেশে গণতন্ত্র চায়নি। তারা গণতন্ত্রকে শেষ করে দিতে গণতন্ত্রের নেত্রীকে আজ আটকে রেখেছে। ৩০ ডিসেম্বরের আগের রাতে ভোট ডাকাতি করেছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে তারা দেশে একদলীয় বাকশাল আবারও পুনপ্রতিষ্ঠা করতে চায়। এ জন্য তারা দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের সর্বোচ্চ আদালতে হস্তক্ষেপ করছে। এসবের বিরুদ্ধে জনগণকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
