ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ আর জ্বালাও-পোড়াও-এ অনেকটা অচল চীন নিয়ন্ত্রিত দ্বীপরাষ্ট্র হংকং। মঙ্গলবার আন্দোলনকারীরা চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যারিকেড দিলে সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাঁধে। হামলার জেরে বিভিন্নস্থানে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভকারীরা।
এমন সহিংস পরিস্থিতিতে হংকংয়ে আইনের শাসন ভেঙে পড়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে বলে সতর্ক করেছে পুলিশ। এদিকে, চীনের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনকে নাক না গলাতে হুঁশিয়ার করেছে বেইজিং।
ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে হংকং। গণতন্ত্রপন্থিদের আন্দোলনে অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে অঞ্চলটির স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। আন্দোলনকারীরা শহরের অর্ধশতস্থানে চীনবিরোধী বিক্ষোভে নামলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে মিছিলটি। অন্যদিকে, শতাধিক মুখোশধারী মেট্রোরেলের লাইনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় অচল হয়ে পড়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে জলকামান, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। এদিন, হংকং-এর একটি চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ব্যারিকেড বসালে পুলিশ তাদের ওপর চড়াও হয়। দিনভর উভয়পক্ষের মধ্যে সেখানে চলে সহিংসতা।
পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা বিক্ষোভের জেরে হংকং-এর আইনের শাসন ভেঙে পড়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে বলে সতর্ক করেছে পুলিশ। সহিংসতার জন্য বিক্ষোভকারীদের দায়ী করা হয়।
জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তার উইং চেউং বলেন, গেল দু’দিন ধরে বিক্ষোভকারীরা শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়সহ বহু স্থানে আগুন দেয়া হয়েছে। এভাবে চলতে পারে না। সবাইকে শান্ত থাকতে হবে।
এদিকে, হংকং ইস্যুতে কোনধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য না করতে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনকে হুঁশিয়ার করেছে বেইজিং।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেং শুয়াং বলেন, চীনের কেন্দ্রীয় সরকার হংকং-এর আইনকে পুরোপুরি সমর্থন দিয়ে আসছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানকার নিরাপত্তা বাহিনী সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে, চীনের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে কোন বিদেশি শক্তির নাক গলানোর অধিকার নেই।
গত ৯ জুন থেকে অপরাধী প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রবল আন্দোলনের মুখে তা প্রত্যাহার করা হলেও নানা দাবিতে এখনও বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন গণতন্ত্রপন্থিরা।