ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অত্যন্ত প্রাচীন ও বৃহৎ একটি রাজনৈতিক সংগঠন। এই দলে যোগ দিতে বাধা নেই। তবে বিতর্কিত কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের নেতাকর্মীদের এখানে ঠাঁই নেই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে অন্য কোনো দল (যুদ্ধাপরাধী ও ফ্রিডম পার্টি ছাড়া) থেকে আওয়ামী লীগে আসলে এতে দোষের কিছু নেই। বরং তাদের সাথে ভালো আচরণ এবং বিভিন্ন সহযোগিতার মাধ্যমে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে হবে।
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম দলে অনুপ্রবেশকারী সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন। ক্যান্টনমেন্ট থেকে এই দলের জন্ম হয়নি। আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতাকর্মী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের প্রতি অত্যন্ত আস্থাশীল এবং পরীক্ষিত সৈনিক। তবে যারা মতলববাজ, অনৈতিক সুবিধার জন্য দলে এসে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ করবে, বদনাম রটাবে তাদের চিহ্নিত করুন। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা গ্রহণের যথেষ্ট নজির রয়েছে।
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনাসহ জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় করে যেকোনো সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। দলীয় শৃংখলা বিরোধী কোনো ধরণের অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলতে দেওয়া যাবে না। চাঁদাবাজী, মাদক, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে কোনো ভাবে ছাড় দেওয়া হবে না।
এদিন সকালে লাকসাম হাউজিং এস্টেটে উপজেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে দলের সহসভাপতি মো. এনায়েত উল্লাহ’র সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. তাবারক উল্যাহ কায়েস, সাধারণ সম্পাদক মহব্বত আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আবু তাহের, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. রফিকুল ইসলাম হিরা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মনোয়ারা সুলতানা, সদস্য আকতার হোসেন মিলন, কুমিল্লা জেলা পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট তানজিনা আক্তার, লাকসাম পৌরসভা মেয়র অধ্যাপক মো. আবুল খায়ের প্রমূখ।
এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং ইউপি চেয়ারম্যানগণ বক্তব্য রাখেন।