করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনে বিমান বন্ধ থাকায় বিপদে পড়েছেন বিদেশগামী বহু যাত্রী। এই অবস্থায় সরকার সৌদি আরব,সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই),ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুরগামী যাত্রীদের জন্য শিগগিরই বিশেষ ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) নিশ্চিত করবে।প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন জানিয়েছেন, সৌদি আরব সহ কয়েকটি দেশে বিশেষ বিমানযোগে প্রবাসীদের যাওয়ার ব্যবস্থা করছে সরকার। অনেকে টিকেট কেটে রেখেছেন, আবার অনেকে সেখানে গিয়ে কোয়ারেন্টিনের জন্য হোটেল বুকিং দিয়েছেন। তারা যেহেতু যাবেন সে কারণে সরকার তাদের জন্য বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।মূলত লকডাউনের সময়ে বিদেশগামী প্রবাসী কর্মীদের গন্তব্য দেশে যাওয়ার বিষয়ে আজ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। ফলে আটকা পড়েছেন অনেক বিদেশগামী। বিশেষ করে শ্রমিকেরা পড়েছেন বিপদে। এ অবস্থার মধ্যে সরকারের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হলো। সভাটি ভার্চ্যুয়ালি হয়েছে।তবে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলো বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)।আটাবের সভাপতি মনসুর আহমেদ বলেছেন, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪ হাজার প্রবাসী শ্রমিক বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছেন। তাই ঢালাওভাবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকলে অভিবাসী শ্রমিকদের চাকরি ঝুঁকিতে পড়বে।তিনি বলেছেন, লকডাউনের এই এক সপ্তাহে যাদের যাবার কথা, সময়মত যেতে না পারলে তাদের অনেকেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। আবার অনেকের আকামার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। অনেকে পরে গিয়ে আর চাকুরিতে ফিরতে পারবেন না।লকডাউনকালের এই অবস্থায় বিদেশগামী কর্মীদের গন্তব্য দেশে যাওয়া বিষয়ে পররাষ্ট্রসচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব; সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ পদস্থ কর্মকর্তারা।
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো হলো:
১. সৌদি আরব, ইউএই, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুরের জন্য শিগগিরই স্পেশাল ফ্লাইট চালু করা হবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে বিস্তারিত ওয়ার্ক প্ল্যান কাল নিশ্চিত করবে।
২. বিদেশগামী যাত্রীদের করোনা নেগেটিভ সনদসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এয়ারপোর্টে আনার দায়িত্ব রিক্রুটিং এজেন্সির।
৩. প্রবাসী কর্মীরা কেবল জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মিশনের ছাড়পত্র গ্রহণ করে এবং দেশে প্রযোজ্য কোয়ারেন্টিন শর্ত মেনে কোভিড নেগেটিভ সনদ নিয়ে দেশে আসতে পারবেন।