বিধ্বংসী স্পেনকে উড়িয়ে ফাইনালে ইতালি

আজ রাতে নিশ্চয়ই মোরাতার ঘুম হবে না। জুভেন্টাসের এই স্ট্রাইকারের গোলে স্পেন ম্যাচে সমতা নিয়ে আসে। কিন্তু নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ১-১ স্কোরলাইন থাকা ম্যাচটি নিষ্পত্তি না হওয়ায় গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে দলের হয়ে চতুর্থ শট নিতে এসে মোরাতা ব্যর্থই হলেন। গোলকিপার দোনারুম্মা অন্যতম নায়ক হলেন তার শট ফিরিয়ে ইতালিকে ইউরোর ফাইনালে নেওয়ার। টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে স্পেনকে হারিয়ে ইতালি চতুর্থবারের মতো ইউরোর ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে।ইতালির হয়ে লোকাতেল্লি গোল করতে পারেননি। বেলোত্তি, বোনিচ্চি, বার্নারদেশি ও জর্জিনহো লক্ষ্যভেদ করেন। বিপরীতে স্পেনের ওলমো শুরুতে গোল পাননি। মরেনো ও আলাকানতারা গোল পেলেও মোরাতার ব্যর্থতায় ম্যাচের ভাগ্য অনেকটাই নির্ধারণ হয়ে যায়।এই নিয়ে রবার্তো মানচিনির দল টানা ৩৩ ম্যাচে অপরাজিত থাকলো। সমর্থকদের উল্লাস ছিল দেখার মতো। লন্ডনের ওয়েম্বলিতে অতিরিক্ত সময়ের খেলাতে কোনও দল গোল করতে পারেনি। এখানেও স্পেন আধিপত্য দেখিয়েছে। কিন্তু গোল ব্যবধান বাড়াতে পারেনি।এর আগে ম্যাচের শুরু থেকে স্পেন আক্রমণে। বল দখলে এগিয়ে থেকে ১২ মিনিটে প্রথম সুযোগও আদায় করে নেয়। কিন্তু ওয়ারজাবাল বক্সের ভিতরে ফাঁকায় লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি। দুই মিনিট পর তোরেসের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।ইতালি ফাঁকে ফাঁকে আক্রমণে উঠার চেষ্টা করেছে। ২১ মিনিটে প্রতিপক্ষের গোলকিপার উনাই সিমন পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসলেও ইতালির কেউ ফাঁকা পোস্ট পেয়ে লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি।চার মিনিট পর স্পেনের ওলমোর শট গোলকিপার ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন। ৩২ মিনিটে ওলমোর আরও একটি প্রচেষ্টা ক্রস বারের অনেক ওপর দিয়ে যায়।

বিরতির পর স্পেনের আক্রমণে তেজ বাড়ে। তবে প্রথম গোল পেয়েছে ১৯৬৮ চ্যাম্পিয়নরাই। স্পেনের আক্রমণাত্মক ফুটবলের বিপরীতে রক্ষণ জমাট রেখে গোল পেয়েছে মানচিনির দল।৪৯ মিনিটে ওলমোর ক্রসে তোরেস বক্সের ভিতরে বল পেয়ে শট নেওয়ার আগেই ইতালির লরেন্জো ক্লিয়ার করেন।তিন মিনিট পর বক্সের বাইর থেকে বুসকেটসের শট ক্রস বারের ওপর দিয়ে গেলে হতাশা আরও বাড়ে।রক্ষণ জমাট রেখে এই অর্ধে গোল করার জন্য সুযোগ খুঁজছিল আজ্জ্বুরিরা। ৫৩ মিনিটে চিয়েসার শট গোলকিপার সিমন শুয়ে পড়ে রক্ষা করেন। তবে ৬০ মিনিটে চিয়েসার শট আর রুখতে পারেননি।ইতালি এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে। ইমোবিলের পাসে বক্সে ঢুকে দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে বাঁকানো শটে গোল করে চিয়েসা সমর্থকদের মনে মুখে হাসি ফোঁটান।ধারার বিপরীতে গোল হজম করে স্পেন অবশ্য হতোদ্যম হয়নি। ১০ মিনিটের মধ্যে ম্যাচে সমতা নিয়ে আসে। ৬৫ মিনিটে কোকে ছয় গজের মধ্যে থেকে হেড নিতে পারেননি। বদলি নেমে মোরাতা দলকে সমতায় ফেরান। অলমোর পাস থেকে জুভেন্টাসের এই স্ট্রাইকার সহজেই গোলকিপার দোনারুম্মাকে পরাস্ত করেন।ম্যাচের শেষ মিনিট পর্যন্ত স্কোরলাইন ১-১ ছিল।

Advertisement