বিশ্বনেতাদের প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তা

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: করোনাভাইরাসের মহামারি রুখতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে সম্প্রতি ব্যর্থতার অভিযোগ উঠছে।এই প্রেক্ষিতে বিশ্বনেতাদের পাল্টা আক্রমণ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের দাবি, বিশ্বের অধিকাংশ দেশ তাঁদের দেওয়া প্রাথমিক সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেছে। আর সে কারণেই এই দেশগুলিকে এখন ভুগতে হচ্ছে। যে দেশগুলি এই সতর্কবার্তা মেনে চলেছে, তারা অনেক ভাল জায়গায় আছে।

বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেছেন, আমরা যখন প্রথম সতর্কবার্তা দিয়েছিলাম তখনই আমাদের কথা শোনা উচিত ছিল। আমরা অনেক আগেই গোটা বিশ্বকে করোনা রুখতে ব্যাবস্থা নিতে বলেছিলাম। আমরা জানিয়েছিলাম, করোনার উপসর্গ আছে এমন রোগীদের খুঁজে বের করে পরীক্ষা করাতে হবে। ওদের সংস্পর্শে যারা আসছে তাদের সনাক্ত করতে হবে। এবং আইসোলেট করতে হবে। কিন্তু আমরা তো শুধু পরামর্শ দিতে পারি। কোনও দেশকে আমাদের পরামর্শ শুনতে বাধ্য করার মতো অধিকার আমাদের নেই। যারা আমাদের কথা তখন শুনেছে, তারা এখন ভাল জায়গায় আছে। যারা শোনেনি তাদের ভুগতে হচ্ছে

তাঁর দাবি, গত ৩০ জানুয়ারি বিশ্বের সব দেশকে সতর্ক করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জানানো হয়েছিল, করোনা ভাইরাসের ফলে সর্বোচ্চ স্তরের জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। তখনও চিনের বাইরে গোটা বিশ্ব আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ৮২।

ঘেব্রিয়েসুসের অভিযোগ, অনেক দেশই তখন তাঁর সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেছে। আর সেই দেশগুলিকে এখন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আসলে তিনি নাম না করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই আক্রমণ শানাতে চেয়েছেন।

কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ব্যর্থতা আর চীনের প্রতি পক্ষপাতিত্ব নিয়ে তিনিই সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছে। আমেরিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে দেওয়া আর্থিক সাহায্যও বন্ধ করে দিয়েছে।

Advertisement