চলমান মহামারি করোনা ভাইরাসের সংকটময় পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের সংখ্যা ফের বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আট হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে চার লাখ ৬৬ হাজার।সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলে। একই সঙ্গে দৈনিক মৃত্যুতেও ব্রাজিল রয়েছে শীর্ষে। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৮ কোটি ৬৩ লাখের ঘর। অন্য দিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪০ লাখ ২৫ হাজার।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডো মিটারস থেকে শুক্রবার (৯ জুলাই) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা পর্যন্ত পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আট হাজার ২২২ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু কমেছে চারজন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪০ লাখ ২৫ হাজার ৭৬২ জনে।এছাড়া একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন চার লাখ ৬৬ হাজার ৬০৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ১৬ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৬৩ লাখ ৬ হাজার ৪৭ জনে।করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত তিন কোটি ৪৬ লাখ ৭৬ হাজার ৭৪৬ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ছয় লাখ ২২ হাজার ২১২ জন মারা গেছেন। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক হাজার ৭৩৩ জন এবং নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩ হাজার ৭৪৯ জন। অপর দিকে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৮৯ লাখ ৬২ হাজার ৭৮৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে পাঁচ লাখ ৩০ হাজার ৩৪৪ জনের।অন্য দিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৭০ জন এবং নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৪৪৩ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত তিন কোটি সাত লাখ ৪৩ হাজার ১৩ জন এবং মারা গেছেন চার লাখ পাঁচ হাজার ৫২৭ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৫৭ লাখ ৯৯ হাজার ১০৭ জন, রাশিয়ায় ৫৭ লাখ সাত হাজার ৪৫২ জন, যুক্তরাজ্যে ৫০ লাখ ২২ হাজার ৮৯৩ জন, ইতালিতে ৪২ লাখ ৬৭ হাজার ১০৫ জন, তুরস্কে ৫৪ লাখ ৬৫ হাজার ৯৪ জন, স্পেনে ৩৯ লাখ ১৫ হাজার ৩১৩ জন, জার্মানিতে ৩৭ লাখ ৪১ হাজার ৪৫১ জন এবং মেক্সিকোতে ২৫ লাখ ৫৮ হাজার ৩৬৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।অন্য দিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১১ হাজার ২৮৪ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৪০ হাজার ৭৭৫ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৮ হাজার ৩৩৬ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৭ হাজার ৭৩১ জন, তুরস্কে ৫০ হাজার ৯৬ জন, স্পেনে ৮০ হাজার ৯৯৭ জন, জার্মানিতে ৯১ হাজার ৭০১ জন এবং মেক্সিকোতে দুই লাখ ৩৪ হাজার ১৯২ জন মারা গেছেন।উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।