বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃত্যু ৫৯ লাখ ছাড়ালো

চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৮ হাজার মানুষ মারা গেছেন। এতে মোট মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৯ লাখ। এছাড়া একইসময়ে নতুন করে সোয়া ১৫ লাখ মানুষ মানুষ আক্রান্ত হওয়ায় শনাক্ত ছাড়িয়েছে ৪২ কোটি ৩৫ লাখ।রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭ হাজার ৮১৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে প্রায় আড়াই হাজার। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৯ লাখ ১৬৭ জনে।একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯০০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় চার লাখ। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ কোটি ৩৫ লাখ ২ হাজার ২৫৬ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৯৮ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ১৪৭ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৫১ লাখ ৯৯ হাজার ৭২০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৭৫৫ জনের।অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে ব্রাজিলে। লাতিন আমেরিকার এই দেশটি করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮২৭ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৩৬৩ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৮১ লাখ ৬৭ হাজার ৫৮৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৯৩৮ জনের।গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে করোনার সংক্রমণ ও প্রাণহানি কিছুটা কমেছে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ৪৪৩ জন এবং মারা গেছেন ৭১৫ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৭২ হাজার ৫৬১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৯ লাখ ৫৯ হাজার ১৩০ জন মারা গেছেন।

গত একদিনে জার্মানিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩৭ হাজার ৭২২ জন এবং মারা গেছেন ১৩৩ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩৪ লাখ ৯৮ হাজার ৩০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ২১ হাজার ৮২৬ জন মারা গেছেন।করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৭৩ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৮ হাজার ৪৮৮ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ২৮ লাখ ২০ হাজার ৯৯৩ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ১১ হাজার ৯৩৫ জন।যুক্তরাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৭৭ জন এবং মারা গেছেন ১২৮ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৮৫ লাখ ৮০ হাজার ২১৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬০ হাজার ৫০৭ জন মারা গেছেন। একই সময়ের মধ্যে ইউক্রেনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ১২৫ জন এবং মারা গেছেন ২৬০ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় তুরস্কে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ হাজার ৪৫৪ জন এবং মারা গেছেন ২৭৮ জন। একই সময়ে ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ হাজার ৫৩৪ জন এবং মারা গেছেন ২৫২ জন।এছাড়া গত একদিনে ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৩৮ জন এবং মারা গেছেন ১৪৮ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ২২ লাখ ২৭ হাজার ৮২৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩৬ হাজার ৫৯৪ জন মারা গেছেন। গত একদিনে কলম্বিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৪৯৮ জন এবং মারা গেছেন ১২৭ জন।এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় পোল্যান্ডে ২৮৩ জন, কানাডায় ২১ জন, আর্জেন্টিনায় ১২৩ জন, গ্রিসে ৭৭ জন, ইরানে ১৯১ জন, জাপানে ২৩৫ জন, রোমানিয়ায় ১৪৬ জন, চিলিতে ১২৯ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩১৯ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ১৫৮ জন এবং ফিলিপাইনে ১৯৮ জন মারা গেছেন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মেক্সিকোতে মারা গেছেন ৪৫৭ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার ৫৫ জনের।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

Advertisement