বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ১০ লাখ ছাড়িয়েছে

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: বিশ্বে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এখনও অনেক দেশে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারতের অবস্থা নাজুক। করোনায় মৃতের অর্ধেকই যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও ভারতে। এমন অবস্থায় এক আবেগঘন ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁ। তিনি বলেছেন, প্রতিজন মানুষের মৃত্যু থেকে আপনি চোখ ফিরিয়ে রাখতে পারবেন না। তারা ছিলেন কারো পিতা, মাতা, স্ত্রী, স্বামী, ভাই, বোন, বন্ধু অথবা সহকর্মী।

এই রোগের নিষ্ঠুরতায় তাদেরকে হারানোর বেদনা আরো করুণ হয়েছে। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির ডাটা উল্লেখ করে অনলাইন বিবিসি বলছে, ২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনের উহানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ সৃষ্টি হয়। তারপর প্রায় ১০ মাসের মধ্যে বিশ্বজুড়ে ১০ লক্ষাধিক মানুষ মারা গেছেন। এই সংক্রমণ ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ১৮৮টি দেশে। আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ৩ কোটি ২০ লাখ মানুষ। করোনা বিস্তার রোধে বিভিন্ন দেশ লকডাউন ও নানা রকম ব্যবস্থা নিয়েছে। এর ফলে অর্থনীতিতে দেখা দিয়েছে মারাত্মক মন্দা। এ অবস্থায় করোনার টিকা আবিস্কারে বিজ্ঞানীরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তবে সেই টিকা বাজারে আসার আগে অথবা তা সর্বসাধারণ্যে পৌঁছার আগে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ২০ লাখ দাঁড়াতে পারে বলে সতর্কতা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এখন পর্যন্ত বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এ সংখ্যা কমপক্ষে ২ লাখ ৫ হাজার। ব্রাজিলে এই সংখ্যা ১ লাখ ৪১ হাজার ৭০০। ভারতে ৯৫ হাজার ৫০০। যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছে কমপক্ষে ৭০ লাখ মানুষ। সারা বিশ্বে যে পরিমাণ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন তার ৫ ভাগের এক ভাগই যুক্তরাষ্ট্রে। জুলাইয়ে এই সংক্রমণ দ্বিতীয় দফায় বাড়ে। আগস্টে আবার কমে যায়। কিন্তু এখন নতুন করে আবার বাড়ছে। করোনা ভাইরাস দ্রুত গতিতে বিস্তার লাভ করেছে ভারতে। সেখানে সেপ্টেম্বরের শুরুতে একদিনে ৯০ হাজার আক্রান্তের রেকর্ড করা হয়েছে। নিশ্চিত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০ লাখ। আক্রান্তের হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই এখন ভারত। তবে ভারতের বিশাল জনসংখ্যার তুলনায় মৃত্যুহার তুলনামুলক কম। লাতিন আমেরিকায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন ব্রাজিলে। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ৪৭ লাখ মানুষ। এই সংখ্যা বিশ্বে তৃতীয় সর্বোচ্চ। এর পাশের দেশ আর্জেন্টিনায় সংক্রমণ বাড়ছে। সেখানে কমপক্ষে ৭ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।

Advertisement