ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বৃটেনের সায়েন্টিফিক এডভাইজরি গ্রুপ ফর ইমার্জেন্সির (এসএজিই) বিশেষজ্ঞরা। সামনেই বড়দিন এবং শীত। এ সময়ে যে গতিতে করোনা ভাইরাস এগিয়ে আসতে পারে সে বিষয়ে চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন তারা। বলেছেন, আসন্ন শীতে বৃটেনে করোনায় মারা যেতে পারেন ৮৫ হাজার মানুষ। এর ফলে আগামী সপ্তাহ থেকে বৃটেনে আবার লকডাউন দিতে পারেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক এবং মাইকেল গভ সমর্থিত্ব বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এবার করোনা ভাইরাস এমন আক্রমণ শাণাবে যে, তাতে সব বয়সীই কুপোকাত হয়ে পড়বে। ফলে সরকার যে লকডাউন দিতে যাচ্ছে তা বহাল থাকবে ১লা ডিসেম্বর পর্যন্ত। সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মেইল।
মন্ত্রীপরিষদের একটি সূত্র এ বিষয়ে নিশ্চয়তা দিয়েছেন। তবে বিজ্ঞানীদের এমন পরামর্শে ক্ষুব্ধ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস ও অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক। কিন্তু বড়দিনে ব্যাপক হারে মানুষের সংক্রমণ রোধে এটাই একমাত্র উপায় বলে পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বৃটেনের কি ভয়াবহ অবস্থা হবে তার একটি ভয়াবহ চিত্র শুক্রবার ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে তুলে ধরেছেন এসএজিই’র বিজ্ঞানীদের কমিটি। তারা বলেছেন, করোনা ভাইরাস অতি দ্রুত গতিতে বিস্তার ঘটাচ্ছে। তাদের একজন বলেছেন, এই ভাইরাস এখন সব বয়সীর বিরুদ্ধে ‘দাঙ্গা লাগিয়ে দিয়েছে’। ফলে নতুন বিধিনিষেধ আগামী সোমবার ঘোষণা করতে পারেন জনসন। আর তা কার্যকর হবে আগামী বুধবার থেকে। তবে এ বিষয়ে এখনও বিস্তারিত জানা যায় নি। মনে করা হচ্ছে, বিধিনিষেধের আওতায় থাকবে পাব ও বিভিন্ন রেস্তোরাঁ। তবে স্কুল খোলা থাকতে পারে । অন্য একটি সূত্র বলেছেন, অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন দোকানপাট বন্ধ থাকবে। এতে ব্যবসার মারাত্মক ক্ষতি হবে। তবু স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক এবং সিনিয়র মন্ত্রী মাইকেল গভের সমর্থনে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এই শীতে বৃটেনে করোনা ভাইরাসে মারা যেতে পারেন ৮৫ হাজার মানুষ। তাই এখনই এর গতি টেনে না ধরলে সময় খুব দ্রুত চলে যাবে। এ জন্য তারা দীর্ঘমেয়াদী লকডাউন দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যেমনটা ফ্রান্সে দেয়া হয়েছিল চার মাসের লকডাউন। সতর্কতায় বলা হয়েছে, হাসপাতালে বেড ফুরিয়ে যাওয়ার আগে এ ব্যবস্থা নিতে হবে।