ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: বিশ্বব্যাপী মহামারির কারণে অন্যান্য দেশের মত বৃটেনেও টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করছে। মার্কেট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ,সৈকত, স্টেডিয়াম, জিম, লাইব্রেরীসহ বিভিন্ন ধরণের হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে লকডাউনের কারণে। এমন পরিস্থিতি কর্মহীন মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে ।বৃৃৃৃৃৃটেনের কেউ সাধারণ ভাবে অসুস্থ হলে মানুষের মধ্যে আতংক দেখা দেয়। অসুস্থতার কথা অনেকে প্রকাশ করতে চান না। ভাইরাসের কারণে বৃটেনে এ পর্যন্ত শতাধিকের উপরে বাংলাদেশির প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।কিছু পরিচিত মাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কিছু কিছু মৃত্যুর সংবাদ জানা গেলেও অনেকে বিষয়টি গোপন রাখছেন। বিশেষ করে মহিলাদের বিষয়টি গোপন থেকেই যাচ্ছে। আর সোশ্যাল মিডিয়ার পরিসংখ্যানেও মতভেদ রয়েছে। করোনা সময় যত গড়াচ্ছে বাংলাদেশিদের প্রাণহানির মিছিল বেড়েই চলছে।
কোভিড-১৯ এ পর্যন্ত(১৮ এপ্রিল, শনিবার)বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ২৫০ বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন।
এদের মধ্যে শুধু বৃটেনে প্রায় ১১৫ বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। এ মহামারিতে প্রাণ হারোনোরদের তালিকা লিপিবদ্ধ করছেন লন্ডনের প্রবীন সাংবাদিক আবু তাহের চৌধুরী। প্রাণ হারানোদের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে বেশ কিছু নাম লিপিবদ্ধ করেছেন। তিনি বলেন, নামগুলো লিপিবদ্ধ করেছি কারণ হয়তো এ দিন থাকবে না, কিন্ত এ মহামারীতে যাদের হারিয়েছি তাদের হিসাব থাকবে বা জানা থাকবে কাদের হারালাম।
এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন প্রথম বাংলাদেশি ম্যানচেষ্টারের মোয়াজ্জেম হোসেন, যুক্তরাজ্যে সফরত মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ মাহমুদুর রহমান, লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসের বাসিন্দা গোলাপগঞ্জ বাগিরঘাটের আফরোজ আলী, সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার মুফতিরগাও গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ তোয়াহিদ আলী, একই উপজেলার বাওয়ানপুর গ্রামের বাসিন্দা ও লন্ডন শহরের হাজী মশহুদ আলী, লন্ডন শহরের বেথনালগ্রীনের বাসিন্দা ও জগন্নাথপুর উপজেলার দীঘলী গ্রামের মখদ্দুছ আলী, লন্ডনে শহরের বাসিন্দা ও জগন্নাথপুর উপজেলার ব্যাবসায়ী আলহাজ্ব আব্দুল নুর,লন্ডন শহরের বো এলাকার বাসিন্দা ও জগন্নাথপুর উপজেলার হাবিবুর রহমান, লন্ডন নিউহামের বাসিন্দা ও বিশ্বনাথ উপজেলার সাবাজপুর গ্রামের সুরুজ আলী, ব্রিটেনের কেন্টের বাসিন্দা ও নারায়নগঞ্জের শফিকুল ইসলাম, কেন্টের বাসিন্দা ও সিলেটের আলী,ব্রিটেনের রসডেল এর বাসিন্দা ও জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের আব্দুল সোবহান কামালী, রসডেল এর বাসিন্দা ও মৌলভীবাজারের মোতাহির আলী, ইপ্সউইচের বাসিন্দা ও নবীগঞ্জ উপজেলার দরবেশ পুরের কবির আহমদ, ইলর্ফোটের বেনটনের বাসিন্দা ও ছাতক উপজেলার জাউয়ার শাহ আলাউর রহমান,লন্ডন বেনজনসন রোডের বাসিন্দা ঢাকা ডেমরা এলাকার শাহাজান আলী, লন্ডনের কুইন্সপার্কের বাসিন্দা ও ওসমানীনগর থানার উমরপুর গ্রামের আলতু মিয়া,বামিংহামের বাসিন্দা ও নবীগজ্ঞের আব্দুল হক চৌধুরী,একই এলাকার সুরু মিয়া, উডগ্রীনের বাসিন্দা ও বিশ্বনাথ বাওয়ানপুরের মাসুদ আলী, ডকল্যান্ডের বাসিন্দা ও গোলাপগঞ্জ লামা মনোহরপুরের হাজী ফখরুল ইসলাম, ইলফোর্ডের বাসিন্দা একাউন্টেন্ট দাউদুর রহমান, এজলিংটনের বাসিন্দা ও বিশ্বনাথ দোর্জাকাপনে আব্দুল মনাফ, ইউরোপের তাবলীগ জামাতের আমির জুইসবাড়ীর বাসিন্দা ও জগন্নাথপুর উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মুকিত, লন্ডনের হ্যাকনি হোমারটন হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের কনসালট্যান্ট ও নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের কামার গাঁও গ্রামের বাসিন্দা ডাক্তার আব্দুল মাবুদ চৌধুরী, ব্যবসায়ী চৌধুরী ফয়সল, লিভারপুলের বাসিন্দা ও ওসমানী নগর থানার খুজকিপুর গ্রামের খলিলুর রহমান, কেনিং টাউনের বাসিন্দা ও বিশ্বনাথ কোনারাই গ্রামের বদরুল ইসলাম টুনু, ষ্টেপনী গ্রীনের বাসিন্দা ও বিয়ানী বাজার দাসউড়া গ্রামের মৌলানা আব্দুল মুকিত, বাগেরহাট জেলার দোমলারাই গ্রামের ব্যারিষ্টার মনিরুজ্জামান শেখ, লুটনের বাসিন্দা ও দক্ষিন সুরমা উপজেলার সিলামের দিবুল আহমদ, এর চার দিনের মাথায় মারা যান দিবুল আহমদের মা ও লুইসামের তৌহিদ আহমদ, জগন্নাথপুর শ্রীরামিশির ফিরুজ আলী সুফি, রেড ব্রিজের কাজী বাদল, নিউর্ফোটের হাজী মনির, বিশ্বনাথের আব্দুল হাই, ছাতকের আনসার মিয়া, শাহাজালাল মসজিদের ইমাম মুফতি মরতুজ হোসেইন খান,বিয়ানী বাজারের আফসার উদ্দিন, বাংলা টাউনের মনির মিয়া, হলবনের বাসিন্দা ও মৌলভীবাজারের আবুল কালাম, লন্ডন গ্রীন ষ্ট্রিটের বাসিন্দা ও দিরাই জগদল গ্রামের সদরুল হক, বিয়ানী বাজার শ্রীধরা গ্রামের আলহা্জ্ব রউফুল ইসলাম, লন্ডন ক্যামডেন টাউনের সিরাজ উদ্দিন, ইলর্ফোটের বিলাল আহমদ, নড়াইলের মখছুদুল আলম বাদল, ফেনীর চৌধুরী ইসলাম, লন্ডনের মনসুর খান, লন্ডন প্লাষ্টের বাসিন্দা ও বিশ্বনাথের হাজী সোলেমান, পপলার বাসিন্দা ও গোলাপগঞ্জের জামিল আহমদ, ম্যানচেষ্টারের বাসিন্দা ও জগন্নাথপুর কুবাজপুর গ্রামের আলহাজ আতিকুর রহমান, ওয়েস্ট লন্ডনের বাসিন্দা ও লালাবাজার বনগাঁও গ্রামের রুপজান বিবি, ম্যানচেষ্টারের হাইডের বাসিন্দা ও জগন্নাথপুর উপজেলার তিলক গ্রামের হাজী মনসুর খান, ইলর্ফোডের বাসিন্দা ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার তুড়ুগাও গ্রামের ব্যবসায়ী দিলাল আহমদ, ইজলিংটনের বাসিন্দা ও মৌলভীবাজার পাগুলিয়ার এরশাদ মিয়া, লন্ডন হোয়াইচ্যাপলের বাসিন্দা ও জগন্নাথপুর উপজেলার শাহার পাড়া গ্রামে, বিয়ানী বাজারের ছনগ্রামের বাসিন্দা জমসেদ আলী, আলহাজ্ব বদরুল, মফিজুল ইসলাম বকুল, হাজী হিরা মিয়া, হাজী আহমেদ আল, হাজী মদরিছ আলী, মাহমুদুর রহমান, জসিম উদ্দিন, আব্দুস ছাত্তার, হাজী গোলাম রাব্বানী, সৈয়দ আশরাফ আলী, হাজী ফখরুল ইসলাম, আলতাব আলী, শহিদ মিয়া, মুহিবুর রহমান চৌধুরী, রাকিব আলী, মুসফিক আহমদ চৌধুরী, হাজী নোয়াজ উল্লাহ, তফজ্জুল আলী উরফে চান্দ আলী, দিলন আহমদ, এনামুল ওয়াহিদ। সর্বশেষ মৃত্যুবরণ করেন নর্থ লন্ডনের বাসিন্দা ও মৌলভীবাজার জেলার বাবলু মিয়া।
এছাড়াও বিভিন্ন জনের নাম ও ছবি দিয়ে সহযোগিতা করেছেন আবুল কালাম আজাদ, আলহাজ্ব আব্দুল মানিক, মুসলেহ উদ্দিন, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সাদ, কয়েছ আলী, জয়নাল আবেদীন প্রমূখ।
এদিকে,বৃটেনে গত ২৪ ঘন্টায় (শনিবার) এক বাংলাদেশিসহ ৮৮৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫,৪৬৪ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় আরো আক্রান্ত হয়েছেন ৫,৫২৬ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১,১৪,২১৭ জন।