ব্রিটবাংলা রিপোর্ট : বৈধপথে রেমিটেন্স পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ২ শতাংশ ক্যাশ ইনসেনটিভ বা নগদ অর্থ সহায়তা সুবিধা নেওয়ার জন্যে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি জানান, জুলাই থেকে এই সুবিধা প্রদান শুরু হয়েছে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের কাজগপত্র দেখিয়ে এখনো সেই সুবিধা আদায় করা যাবে। প্রাপকদের এই সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রেরক প্রতিষ্ঠানকে সরকার এবং লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন এওয়ার্ড প্রদান করবে বলেও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী এবং লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার।
বৈধপথে রেমিটেন্স পাঠাতে উৎসাহিত করার জন্যে প্রেরিত রেমিটেন্সের বিপরীতে ২ শতাংশ হারে ক্যাশ ইনসেনসিভ বা নগদ সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। গত বাজেটে এই ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ ব্যাপারে ইউকে এবং ইউরোপ প্রবাসীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ম্যানি ট্রান্সফার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একমতবিনিময় সভা করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী জানান, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ফলে তিনি নিজে বাজেট পেশ করতে পারেননি। তিনি জানান, ২শতাংশ ক্যাশ ইনসেনটিভ ঘোষণার পরপরই জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে দেশে রেমিটেন্স প্রবৃদ্ধি ১৫ থেকে ১৬ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি ট্রানজেকশন ১ হাজার ৫শ ডলারের মধ্যে থাকলে/ টাকার উৎস জানতে চাইবে না সরকার। কোনো কাগজপত্রও চাওয়া হবে না। প্রতি ট্রানজেকশনের জন্যে ২শতাংশ করে ইনসেনটিভ পাবেন রেমিটেন্স প্রাপকরা। দেশে ১শ টাকা পাঠালে ২টা প্রনোদনা দেবে সরকার। এছাড়াও সর্বোচ্চ ১০টি রেমিটেন্স প্রেরক প্রতিষ্ঠানকেও সরকার পুরস্কৃত করবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
এদিকে লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার জানিয়েছেন, আগামী বছর থেকে ইউকের সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রেরণকারী প্রতিষ্ঠানকেও এওয়ার্ড প্রদান করবে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন। ২০২০ সাল থেকে তা কার্যকর করা হবে বলেও জানান তিনি।
অর্থমন্ত্রী অনুষ্ঠানে মানি ট্রান্সফার ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবও দেন। এ সময় দেশে বিনিয়োগ করতেও প্রবাসীদের আহ্বান জানান তিনি। দেশে বিনিয়োগের সুবিধার্থে বাংলাদেশ সরকার আগামী মাস থেকে ইউকের শেয়ারবাজারে বিশেষ বন্ড নিয়ে আসছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া দেশের ইকোনমি জোনগুলোতে বিনিয়োগের বিশেষ সুবিধা নেওয়ার জন্যে আহ্বান জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশে অর্থনীতি বিশেষ টার্ন নেবে। ২০৪১ সালের ভেতরে বাংলাদেশ জি টুয়ান্টির গ্রুপের প্রথম সারির একটি দেশে পরিনত হবে বলে দৃঢ়ভাবে বলেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখিয়ে গেছেন স্বাধীন বাংলাদেশের তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সেই পথেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।