ইন্ডিয়ান ভাইরাস সনাক্তে সহায়তা করতে ইংল্যান্ডের বল্টনে ঘরে ঘরে গিয়ে ভাইরাসের পরিক্ষা সামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। বল্টনের একটি টিকাদান কেন্দ্রে শনিবার প্রায় ৪ হাজার মানুষকে গণটিকা দেয়া হয়েছে। ইংল্যান্ডের যেসকল এলাকায় ইন্ডিয়ান ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে সেসকল এলাকার লোকজনকে দ্রুত ভ্যাকসিন নেয়ার আহবান জানিয়েছে সরকার। এইসকল এলাকায় টিকার দ্বিতীয় ডোজ ১২ সপ্তাহের পরিবর্তে ৮ সপ্তাহের মধ্যে দেয়া হবে।আগামী সোমবার থেকে ইংল্যান্ডে আবারো চালু হচ্ছে রেস্টুরেন্ট, পাবসহ হসপিটালিটি সেক্টর। তবে আগামী ২১ জুন থেকে পুরোপুরি লকডাউন প্রত্যাহার সম্ভব কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে ইন্ডিয়ান ভাইরাসের সংক্রমনের কারনে।ব্রিটেনে গত এপ্রিলের পর থেকে হাসপাতালগুলোতে রোগীদের সংখ্যা কমে এসেছে। বর্তমানে ১ হাজারের কর্ম রোগী ভর্তি রয়েছেন। কিন্তু এখনো বহু প্রাপ্ত বয়স্ক টিকা না নেয়ায় উদ্বেগে রয়েছেন ডাক্তাররা।
হেলথ মিনিস্টার এডওয়ার্ড আরগার বিবিসিকে জানিয়েছে বল্টনের হাসপাতালগুলোতে রোগীদের চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে ৩৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সী মানুষদের।ইন্ডিয়ান ভাইরাস সনাক্তের জন্য পরিচালিত গণ পরিক্ষা কেন্দ্রে সহায়তার জন্য গ্রেটার ম্যানচেস্টার এবং ব্ল্যাকবার্নে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস বলছে, গত সপ্তাহে ভারতীয় ধরনটি প্রায় তিনগুন বেড়েছে।আর এ কারনে ইংল্যান্ড জুড়ে বেশ কিছু এলাকায় সার্জ টেস্টিং পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে লন্ডনের কয়েকটি কাউন্সিল, সেফটন, ওয়ার্সস্টারশায়ার এবং নটিংহাম এলাকা।সরকারের টিকা বিষয়ক পরামর্শক অধ্যাপক অ্যান্টনি হারডেন বলেছেন, এখনো উক্ত এলাকাগুলোতে বেশ কিছু আক্রান্ত লোক রয়েছেন। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এই ভাইরাসের কারনে ৫০ উর্ধ বয়সী যারা টিকা গ্রহন করেনটি তারা সমস্যায় পড়বেন। তাদের হাসপাতাল পর্যন্ত যেতে হতে পারে।এদিকে শনিবারের সরকারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী ব্রিটেনে গত ২৪ ঘন্টায় আর আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ২৭ জন। আর মৃত্যু বরণ করেছেন ৭জন।