ব্রিটবাংলা ডেস্ক : লিঙ্গ পরিবর্তন নিয়ে আগ্রহী বা ইচ্ছুক শিশু-কিশোরদের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের বাক-বিতন্ডা বা সামান্য কথা কাটাকাটি হলেও সেই সব শিশুদের কাউন্সিল কেয়ারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গত বছর লিঙ্গ পরিবর্তনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে লন্ডনে তিনজন শিশুকে কাউন্সিল কেয়ারে নেওয়া হলেও ক্রমান্বয়ে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্যাম্পেইনাররা বলছেন, লিঙ্গ পরিবর্তনে আগ্রহী নিজের সন্তানদের কাছে অসহায় হয়ে যাচ্ছেন অভিভাবকরা। লিঙ্গ পরিবর্তনে আগ্রহী বাচ্চাদের সামান্য বাধা দিলেই কাউন্সিল তাদেরকে নিয়ে ফস্টার কেয়ারের কাছে দিয়ে দিচ্ছে।
দ্যা সান পত্রিকার ফ্রিডম অব ইনফরমেশনের তথ্যানুযায়ী জানা গেছে, ওয়েস্ট লন্ডনের হিলিংডন কাউন্সিলে দুজন শিশু এবং ইলিং কাউন্সিলে অন্তত ৫জন শিশুকে ফস্টার কেয়ারে নেওয়া হয়েছে লিঙ্গ পরিবর্তন নিয়ে তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিরোধের ফলে। যদিও দুটি কাউন্সিলের পক্ষ থেকেই তা অস্বীকার করা হয়েছে।
এদিকে এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ৬ বছরে এনএইচএসে জেন্ডার আইডেন্টিটি ট্রিটমেন্টের জন্যে পাঠানো শিশু-কিশোরের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার শতাংশ বেড়েছে। ২০১৭-১৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫শ ১৯ জন। এরমধ্যে ৭১ শতাংশই ছিল মহিলা বা মেয়ে।
লিঙ্গ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে মেয়েরাই কেনো বেশি আগ্রহী এই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্যে নির্দেশ দিয়েছেন ইকুয়ালিটি মিনিষ্টার প্যানি মার্ডান্ট।
ওদিকে ক্যাম্পেইন গ্রুপ ট্র্যান্সজেন্ডার ট্রেন্ড এর এক মূখপাত্র বলেছেন, লিঙ্গ পরিবর্তনে আগ্রহী শিশু কিশোরদের অভিভাবকদের অবশ্যই এই বিষয়ে কিছু বলার বা করার অধিকার থাকতে হবে। কোনো ধরনের ভয় ভীতির উর্ধ্বে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে সন্তানদের সঙ্গে অভিভাবকতের কথা বলার স্বাধীনতা নিশ্চিতের জন্যে ট্রান্সজেন্ডার ট্রেন্ড ক্যাম্পেইন করছে। এর আগে ষোল বছরের এক কিশোর হাইকোর্টে অনুরোধ করেছিল, তার সম্ভাব্য লিঙ্গ পরিবর্তনের বিষয়টি তার পরিবারকে না জানানোর অধিকার চেয়ে। হাইকোর্ট তার অনুরোধ রেখেছিল।
ব্রিটেনে শিশু-কিশোরদের লিঙ্গ পরিবর্তন : অভিভাবকরা বাধা দিলেই নিয়ে যাচ্ছে কাউন্সিল
Advertisement