ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ব্রেক্সিট কার্যকরের সময় পেছানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনায় বসেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) এর রাষ্ট্রদূতরা। চলতি মাসে ইইউ’র সঙ্গে নতুন একটি ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছিলেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তবে বৃটিশ পার্লামেন্টে চুক্তিটি পাস হয়নি। ফলে গত মাসে পাস হওয়া ‘বেন এক্ট’ আইনের অধীনে বাধ্য হয়ে ইইউ’র কাছে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরুর সময়সীমা পেছানোর অনুরোধ করে চিঠি লিখেন তিনি। তার ওই অনুরোধের প্রেক্ষিতেই স্থানীয় সময় শুক্রবার ব্রাসেলসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এদিকে, ব্রেক্সিট চুক্তি পাস করাতে ব্যর্থ হওয়ার পর আগাম নির্বাচনের ডাক দিয়েছেন জনসন। সোমবার তার প্রস্তাব নিয়ে পার্লামেন্টে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি ও দ্য টাইমস।
খবরে বলা হয়, প্রত্যাশা করা হচ্ছে, বেশিরভাগ ইইউ সদস্যই তিন মাসের জন্য ব্রেক্সিট শুরুর সময় পেছাতে রাজি হবে। তবে ফ্রান্স জানিয়েছে, তারা আরো স্বল্প সময় দিতে চায় বৃটেনকে। বিদ্যমান চুক্তি অনুসারে, আগামী ৩১শে অক্টোবর থেকেই ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। জনসন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার আগ থেকেই এই সময়ের মধ্যে ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব তুলে আসছেন। জানিয়েছেন, প্রয়োজনে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটেও আপত্তি নেই তার। তবে পার্লামেন্টে তার প্রস্তাবিত চুক্তি পাস না হওয়ার পর আগামী ১২ই ডিসেম্বর আগাম নির্বাচনের ডাক দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ওই নির্বাচনে তার দল জয়ী হলে পার্লামেন্টে ফের ব্রেক্সিট চুক্তি পাসের চেষ্টা চালাবেন তিনি।
বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ইইউ যদি আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত ব্রেক্সিট কার্যকরের সময়সীমা পেছায়, তাহলে সোমবার পার্লামেন্টে নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সে আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব তুলবে বরিস সরকার। এই ঘোষণায় প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে দলের প্রধান হুইপ সদস্যদের নির্বাচনের বিপক্ষে ভোট দেয়ার নির্দেশনা দেন। বিদ্যমান আইনের অধীনে প্রস্তাবটি পাস হতে পার্লামেন্টের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদন লাগবে। তবে দলীয় নির্দেশনার বিপরীত অবস্থানের কথা জানিয়েছেন লেবার পার্টি প্রধান জেরেমি করবিন। তিনি জানান, এ বিষয়ে দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। সরকার চুক্তিহীন ব্রেক্সিট নিষিদ্ধ করলে তারা নির্বাচনের পক্ষে সমর্থন জানাবে।