ভারতের উদ্দেশ্যে হুংকার ছাড়লেন স্টিভেন স্মিথ

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ মানেই কথার লড়াই। মনস্তাত্ত্বিক চাপ। আসন্ন সফরের আগে এই মনস্তাত্ত্বিক চাপের খেলা শুরু করে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ। ভারতীয় পেসারদের রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন এই সাবেক অজি অধিনায়ক। গত নিউজিল্যান্ড সিরিজে স্মিথের পাঁজর ও মাথা তাক করে একের পর এক শর্ট বল ছুড়ে গেছেন নেইল ওয়াগনার। তাতে রান পাননি স্মিথ। ভারতও এই কৌশল কাজে লাগাতে পারে। এমন আশংকায় স্মিথ পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছেন, কোনো লাভ হবে না।

২০১৯-২০ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডের বাউন্সারের সামনে অসহায় হয়ে পড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা। স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও মার্নাস লাবুশানে- তিন ব্যাটসম্যানকে টেস্ট সিরিজে মোট ১০ বার ফিরিয়েছিলেন কিউই বাঁ-হাতি পেসার নেইল ওয়াগনার। বিশেষ করে স্মিথ যেন ওয়াগনারের সামনে দাঁড়াতেই পারছিলেন না। ওয়াগনারের শর্টপিচ ডেলিভারিতে তিনি ৪ বার আউট হয়েছিলেন। তার পরও সেই সিরিজে তিন টেস্টে স্মিথের গড় ছিল ৪২.৮০।

এর আগে ২০১৮-১৯ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ে বড় ভূমিকা ছিল পেসারদের। যশপ্রীত বুমরাহ, মোহাম্মদ শামি ও ইশান্ত শর্মা- তিন পেসারই চাপে ফেলেছিলেন অস্ট্রেলিয়াকে। সেই সিরিজে ৮ বারের মধ্যে ৭ বারই অস্ট্রেলিয়ার ১০ উইকেট পতন হয়েছি। ভারতীয় পেসাররা নিয়েছিল মোট ৫১ উইকেট। এই সিরিজেও বুমরাহদের কাছে অনেক প্রত্যাশা আছে। আর তাই মনস্তাত্ত্বিক খেলা শুরু হয়ে গেছে।

স্মিথ বলেছেন, ‘আমি কন্ডিশন বুঝে খেলি। প্রতিপক্ষ কীভাবে আউট করার চেষ্টা করছে, সেটা বুঝে মোকাবিলার চেষ্টা করি। আমার বিপক্ষে শর্টপিচ ডেলিভারি অনেক দলই করেছে। তবে কেউ ওয়াগনারের মতো সাফল্য পায়নি। তার বোলিং মানেই মাথা ও পাঁজর লক্ষ্য করে বল করা। তবে এভাবেই যদি আমাকে আউটের চেষ্টা করা হয়, তাতে দলেরই লাভ। কারণ ক্রমাগত শর্টপিচ বল করলে শরীরে রীতিমতো ধকল পড়ে। আর আমি জীবনে প্রচুর শর্টপিচ বল খেলেছি। খুব বেশি সমস্যাতেও পড়িনি। এবার দেখা যাক কী হয়।’

Advertisement