মতিয়ার চৌধুরীঃ ‘অংকুর নাট্যসংস্থা’র আয়োজনে ভারতের হাওড়ার বালিতে ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ৪ দিনব্যাপী ‘আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসব-২০১৮’।
এতে ব্রিটিশ বাঙ্গালী সাহিত্যিক ও নাট্যকার ড. মুকিদ চৌধুরীর রচনায় ৪টি নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে।
তার রচিত নাটক গুলো হলো— ‘কতরঙ’ (নির্দেশনা: চিন্ময় দেবনাথ, ‘নাট্যকথক’, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ), ‘অপ্রাকৃতিক প্রকৃতি’ (নির্দেশনা: ফখরুল হামিদ, ‘দেশ নাট্যগোষ্ঠী’, শায়েস্তাগঞ্জ, বাংলাদেশ), ‘জলের ভেতর জলের বিসর্জন’ (পরিচালক: শফিকুল ইসলাম রুবেল, ‘ওয়েভস এমসি’, যুক্তরাজ্য) ও ‘বন্ধ্যা’ (পরিচালক: মৃন্ময় রায় চৌধুরী, ‘অংকুর নাট্যসংস্থা’, বালি, ভারত)।আগামী ১ ডিসেম্বর ‘কতরঙ’ ও ২ ডিসেম্বর ‘অপ্রাকৃতিক প্রকৃতি’, ‘জলের ভেতর জলের বিসর্জন’ ও ‘বন্ধ্যা’ নাটক ৪টি মঞ্চস্থ হবে। নাটকগুলোতে অভিনয় করেছেন— মনিভূষণ ভট্টাচার্য, সারওয়ার কামাল রবিন, মিতিশ সরকার, তামিমা তিথি, প্রিয়ন্ত পাল, ওয়াহিদা সুলতানা আশা, মাহমুদুল হাসান, সাদ্দাম মুক্তাদির, হারুন সাঁই, জনি রানি দাস, শামীম আহমেদ, আল আমিন, শারমিন আক্তার, শাহীন আহমেদ, যোসেফ হাবিব, সিরাজুল ইসলাম, মুখলিছুর রহমান, মাখন মিয়া, আব্দুল ওয়াহিদ, ফারুক দেওয়ান, মিঠুন, রৌদ্র, নয়ন, সন্দীপ, শফিকুল ইসলাম রুবেল, হুসনে মোবারক, এবি এম নোমান, রেজাউল করিম সবুজ, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, ফাহমিদা আলম পাখি, রাজিব সাহা এবং ‘অংকুর নাট্যসংস্থার’ নাট্যকর্মীবৃন্দ। বাংলাদেশ থেকে কবি, প্রাবন্ধিক ও নাট্যকার লিটন আব্বাস এই নাট্যোৎসবে অংশগ্রহণ করছেন। তিনি বলেন, ‘ড. মুকিদ চৌধুরীর কৌশল হচ্ছে মুভমেন্ট থিয়েটারের মাধ্যমে নাটককে তৃণমূল পর্যায়ে খুব সাধারণ মানুষের কাছাকাছি পৌঁছে দেওয়া ও হৃদয় হরণ করা। এখানেই নাট্যভাস্কর ড. মুকিদ চৌধুরীর নাটকে আর্কিটাইপ লক্ষণীয়।’
উৎসব পরিচালক ও নাট্যজন মৃন্ময় রায় চৌধুরী বলেন, ‘এই উৎসবের গুরুত্ব এজন্যই বেশি অনুভূত হচ্ছে যে, বিভিন্ন দেশের অংশগ্রহণে আমাদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ প্রসারিত হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত এর উন্নতি সাধনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এবছর আমরা ‘বাংলা মুভমেন্ট থিয়েটার’ শিল্পশৈলীর জনক ড. মুকিদ চৌধুরীকে ‘নাট্যগুরু’ উপাধিতে ভূষিত করে তার প্রতি আমাদের ঋণ কিছুটা হলেও লাঘব করার চেষ্টা করেছি, এই আমাদের ধারণা। এর আগেও তার কয়েকটি নাটক লন্ডনের নাট্যমঞ্চে মঞ্চস্থ হয়েছে। নবীগঞ্জের কৃতিসন্তান ড. মুকিত চৌধুরীর বেশ কয়েকটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে, এর বাইরে তিনি লন্ডন, বাংলণাদেশ এবং ভারতের পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লিখেন।