ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসা ৭ নারী ও ৪ শিশুসহ ১৮ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। আটক রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্পে যাওয়ার উদ্দেশে ভাসানচর থেকে এসেছে বলে জানিয়েছে। ভাসানচর থেকে তারা রিজার্ভ ট্রলার নিয়ে মিরসরাই বঙ্গবন্ধু শিল্পাঞ্চলে এসে নামে।রোববার সকাল ১১টার দিকে স্থানীয়দের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে তাদের আটক করে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূর হোসেন মামুন।
তিনি বলেন, ভাসানচর থেকে পালিয়ে এসে এই রোহিঙ্গারা মিরসরাই বঙ্গবন্ধু শিল্পাঞ্চল এলাকায় নামে। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে স্থানীয়দের দেওয়া সংবাদের ভিত্তিতে আমরা তাদের আটক করি। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।আটক ১৮ জন হলো মো. আলী উল্লাহ (২৫) ও তার স্ত্রী নজুমা বেগম (২০), তাদের মেয়ে শামসুন্নাহার (৩), আব্দুর রশিদ (৩০), আব্দুল মজিদ (২১) ও তার স্ত্রী সামিরা (১৯), মনসুর আলম (২৮) ও তার স্ত্রী জমিলা বেগম (২৬), তাদের চার সন্তান ইমরান খান (৮), হামিদা বেগম (৭), মোশরফা বেগম (৬), সামিয়া বেগম (২), মর্জিনা আকতার (২২) ও তার মেয়ে মোনতাহা সুলতানা রিনা (৬), রোকেয়া আকতার (২১) তার ছেলে আব্দুর রহমান (২), আসমিদা (১৯) ও উম্মে হাবিবা (২১)।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নৌকায় উত্তাল সাগর পাড়ি দিয়ে শিশু, নারী, পুরুষসহ ১৮ রোহিঙ্গার একটি দল মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল এলাকার সমুদ্র উপকূলে এসে নামে। সেখান থেকে চরশরৎ এলাকায় এলে স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করে শিল্প পুলিশের হাতে তুলে দেয়। শিল্প পুলিশ জোরারগঞ্জ থানায় খবর দিলে তারা এসে নিয়ে যান।ওসি মো. নূর হোসেন মামুন বলেন, আটক রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্পে তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য ভাসানচর থেকে রিজার্ভ ট্রলার নিয়ে মিরসরাই বঙ্গবন্ধু শিল্পাঞ্চলে এসে নামে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২২ জুন একই এলাকা থেকে ১৪ রোহিঙ্গাকে আটক করে পুলিশ। তারা দালালদের জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা করে দিয়েছিল মালয়েশিয়া পৌঁছে দিতে। দালালরা তাদেরকে জোরারগঞ্জ মেরিনড্রাইভ সড়কে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।