ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আ. খালেক নামের ইতালিফেরত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর মৃত্যুর খবর শুনে আজ সোমবার (২৩ মার্চ) সকালে নমুনা সংগ্রহে ঢাকা থেকে মৃতের বাড়িতে পৌঁছেছেন আইইডিসিআর’র একটি দল।
ভৈরব করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় মৃতের আশপাশের ১০টি বাড়ি, সেবা প্রদানকারী আবেদীন জেনারেল হাসপাতাল ও সাইদ ইউসুফ মেমোরিয়াল হাসপাতালে সাধারণের চলাচল সীমিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জনায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি (৬০) ইতালি থেকে দেশে ফেরেন আ. খালেক। গতকাল রবিবার (২২ মার্চ) রাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়ির লোকজন তাঁকে প্রথমে স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর অন্য একটি হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু অবস্থার অবনতি দেখে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা বলেন, এ ঘটনায় মৃতের বাড়ির আশপাশে মানুষের চলাচল সীমিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভৈরবে বিদেশফেরতদের ১৪ দিন নিজ বাড়ির একটি কক্ষে পরিবারের অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। উপজেলার ট্রমা হাসপাতালে একটি আইসোলেশন সেন্টারও খোলা হয়েছে। মানুষকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শপিংমল ও সিনেমা হল পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। হাট-বাজার ও দোকানপাটে জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইন অমান্য করা হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
ভৈরব উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গত দুই সপ্তাহে বিদেশফেরত ১৬৩ জনকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। এর মধ্যে ১৪৮ জন হোম কোয়ারেন্টিনে ও ১৫ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।