রাত পোহালেই বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।রোববার (১১ জুন) সকাল থেকে বরিশাল নগরের বান্দরোডস্থ জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম বুঝিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।বিসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, প্রথমবারের মতো এবার বরিশালের সবগুলো কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হচ্ছে। ইভিএমে ভোট দেওয়ার বিষয়ে প্রতীক বরাদ্দের পরই প্রতিটি ওয়ার্ডে একটানা ভোটারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এতে ভোটারদের মধ্যে বেশ আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি তাদের ব্যাপক সাড়ার কারণে নির্ধারিত সময়ের বেশি থেকেও প্রশিক্ষণ দিতে হয়েছে আমাদের। আশা করছি, কেন্দ্রে ভোটার সমাগম ঘটবে এবং সুষ্ঠু পরিবেশে তারা ভোটে দেবেন।
তিনি বলেন, ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪টি বুথের জন্য দেড় হাজার ইভিএম রাখা হয়েছে। সকাল থেকে ইভিএমসহ নির্বাচনী সামগ্রী প্রিজাইডিং অফিসারদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বুঝে নেওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে স্ব স্ব কেন্দ্রে চলে যাবেন প্রিজাইডিং অফিসাররা। এছাড়া ১২৬টি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রায় ১ হাজার ২০০ সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।আর গোটা নির্বাচনী এলাকাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলতে সাড়ে ৪ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম। অপরদিকে প্রতি কেন্দ্রে ১২ জন করে আনসার সদস্য মিলিয়ে ১ হাজার ৫১২ জন আনসার সদস্য কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া র্যাবের ১৬টি টিম স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেব কাজ করছে।এর পাশাপাশি ১০ প্লাটুন বিজিবি, ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১০ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।এদিকে সকাল থেকে বরিশাল নগরের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে টহল পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। নগরজুড়ে বিজিবির টহল অব্যাহত রয়েছে। বহিরাগতদের নগরী ছাড়ার জন্য কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন। তবে নির্দেশনা উপেক্ষা করে বহিরাগত যারা এখনও অবস্থান করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায় পুলিশ।