ভ্রমণে সঙ্গে থাকুক শুকনো খাবার

ভ্রমণে গেলে সঙ্গে শুকনো খাবার রাখা ভালো। কেন, তাই নিয়ে বলেছেন বারডেম জেনারেল হাসপাতালের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ, শুনেছেন এ এস এম সাদ

শীতে অনেকেই ঘুরতে যায়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউল্যাবের ছাত্র ইয়ানুর হোসেন সুযোগ পেলেই চলে যান ঢাকার বাইরে। সুন্দরবন, সেন্ট মার্টিন, খাগড়াছড়ি, কুয়াকাটা থেকে শুরু করে দেশের নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ভ্রমণে খাবার ও পানি পানে সতর্ক থাকি। বিশেষ করে তেলে ভাজা খাবার, ফাস্ট ফুড খাই না। পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করি। এতে শরীর ও মন ভালো থাকে।’

 

ভ্রমণে শুকনো খাবার কেন রাখবেন?

ভ্রমণে সঠিক খাবার ভ্রমণকে সুন্দর করে তুলতে পারে। ভ্রমণ ব্যাগে অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের সঙ্গে অবশ্যই শুকনো খাবার নেওয়া দরকার। শুকনোজাতীয় খাবার নিয়ে যাতায়াত সহজ। দেরিতে পচন ধরে বলে অনেক দিন সঙ্গেও রাখা যায়।

 

তৃষ্ণায় পানি

সারা দিনে সুস্থ থাকতে পানি পানে কোনো বিকল্প নেই। আর ভ্রমণে থাকলে পানি খেতে হবে পরিমাণমতো, সঠিক সময়ে। অনেকেই বাইরের পানি পান করার জন্য নানা রোগে আক্রান্ত হন। বিশেষ করে ডায়রিয়া, কলেরার মতো পানিবাহিত রোগ। তাই ভ্রমণে পানির একটি বোতল ব্যাগে রাখুন। পানি শেষ হয়ে গেলে যখনই কোথাও বিশুদ্ধ পানি পাবেন, সেখান থেকে সংগ্রহ করে নিন।

 

পুষ্টি ও ক্ষুধা নিবারণে খাবার

ভ্রমণে ক্ষুধা নিবারণের সঙ্গে পুষ্টিগুণের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। প্যাকেটজাত খাবার সঙ্গে নিতে পারেন, যাতে সহজে বহন করা যায়। এমন খাবার নিতে হবে, যেগুলো অনেক দিন পর্যন্ত সঙ্গে থাকে এবং সহজে পচন ধরে না।

বাদাম :  শুকনো খাবারের মধ্যে প্রোটিনে ভরপুর বাদাম। দামে সস্তা এবং সহজেই বহন করা যায়। পেস্তা বাদামে রয়েছে অনেক গুণ। ৫০টি পেস্তা বাদামে রয়েছে ১৬০ ক্যালোরি, ৫ গ্রাম প্রোটিন ও ২ গ্রাম ফাইবার। এটি উচ্চ ফাইবার ও প্রোটিনের বেশ ভালো উত্স। ভ্রমণের সময় এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

পনির : এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ক্যালোরি। এটি ভ্রমণে শরীরের শর্করার পরিমাণ সঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরের শক্তি ধরে রাখে। ছোট্ট বক্সে অল্প কিছু পনির কেটে নিয়ে নিন।

সিদ্ধ ডিম : সিদ্ধ ডিম প্রোটিনের চমত্কার উত্স, বহনেও সুবিধা। তবে এক দিন পেরিয়ে যাওয়ার আগেই ডিম খেয়ে নিন।

ফল : নানা রকম ফল সঙ্গে নেওয়া স্বাস্থ্যসম্মত। আঙুর সতেজ রাখার পাশাপাশি শরীর শুষ্ক হয়ে যাওয়া থেকেও রক্ষা করবে। একটি মাঝারি সাইজের আপেলে রয়েছে ৮০ থেকে ১০০ ক্যালোরি ও ৫ গ্রাম ফাইবার। এটি শরীরে প্রাকৃতিক সুগারের কাজ করবে এবং পানিশূন্যতা রোধে সাহায্য করবে। তবে যেসব ফল নরম সেগুলো সঙ্গে নেবেন না। ছোট্ট বক্সে কিছু আঙুর ও আপেল, নাশপাতির মতো ফল রাখুন।

ধরে রাখতে হবে এনার্জি

ক্ষুধা নিবারণের সঙ্গে এনার্জিও ধরে রাখতে হবে। যেসব খাবার শরীরে বেশি সময় ধরে শক্তি জোগান দেবে, সেই খাবারগুলো রাখতে ভুলবেন না।

রুটি : কার্বোহাইড্রেট হলো শরীরের জ্বালানি। শরীর কর্মক্ষম রাখে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার। তাই সঙ্গে শুকনো রুটি, প্যাকেট জেলি রাখুন।

খেজুর : খেজুরে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। শরীরে যা প্রচুর পরিমাণে শক্তির জোগান দেয়।

ছোলা : ছোলার আরেক নাম হচ্ছে ‘হর্স পাওয়ার’। তাই ভিজিয়ে রাখার পর নরম হলে পানি থেকে তুলে শুকিয়ে নিন। এরপর একটা প্লাস্টিকের ব্যাগে নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন।

Advertisement