ভ্রমনকারীদের জন্য ১৪ দিনের কোরানটাইনে এমপিদের অনুমোদন : ব্রিটিশ বিজনেস সেক্রেটারী সেল্ফ আইসোলিউশনে

মো: রেজাউল করিম মৃধা ॥ করোনা ভাইরাসে ব্রিটেনে নতুন করে গত চব্বিশ ঘন্টায় আরো ১৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে হেলথ ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে। এ নিয়ে ব্রিটেনে হাসপাতাল এবং কেয়ার হোমে মিলে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেল।

এদিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমন ঠেকাতে আকাশ, জল এবং স্থল পথে ব্রিটেনে ভ্রমণকারীদের জন্য ৮ দুন থেকে বাধ্যতামুলকভাবে ১৪ দিনের হোম কোরানটাইনে থাকতে হবে। হোম সেক্রেটারী প্রীতি পাটেলের এই প্রস্তাবকে সংসদে সমর্থন করেছেন এমপিরা।

যদিও  মনে করা হচ্ছে এতে অর্থনৈতিকভাবে বেশ ক্ষতির মুখে পরবে এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিসহ দেশের পর্যটনখাত।

হোম অফিসের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ব্রিটেনে প্রবেশের সাথে সাথে ভ্রমণকারীর কোথায় অবস্থান করবে বা কোরানটাইনে থাকবে সেই ঠিকানা ইউকে বর্ডার এজেন্সি বা কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে। সেই ঠিকানা অনু্যায়ী বর্ডারের অফিসার বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অফিসাররা যে কোনো সময় গিয়ে পরীক্ষা করবে নির্ধারিত ঠিকানায় নির্ধারিত ব্যক্তিরা কোরানটাইনে আছেন কি না তা পরীক্ষা করবেন। না থাকলে তাদেরকে ঘটনাস্থলেই ১ হাজার পাউন্ড জরিমানা করা হবে। প্রয়োজনে তাদেরকে কোর্টে নিয়ে যাবে ইউকে বর্ডার  এজেন্সি।

অবশ্য প্রতিবছর বৃটিশরা বিভিন্ন দেশে ভ্রমন করে থাকেন। এরমধ্যে ফ্রান্সে ৮.৪ মিলিয়ন, ইতালী ৪.৩ মিলিয়ন, পর্তুগাল ২.৪ মিলিয়ন,আমেরিকা ৩.৯ মিলিয়ন সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমন করে থাকেন ঠিক অনুরুপ ভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যোটকরাও বৃটেনে ভ্রমন করে থাকেন ২০২০ সালে সেই ভ্রমনের প্রথম ১৪ দিন হবে কোয়ারেন্টেনে বন্ধি।

এদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন কমছে বলে মনে হচ্ছে না ইউকেতে। জুনের মধ্যে তা আবার পিকে উঠতে পারে বলেও আংশকা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বুধবার পার্লামেন্টে হঠাৎ করেই অসুস্থ্য হয়ে পড়েন ব্রিটিশ বিজনেস সেক্রেটারী অলক শর্মা। পরবর্তীতে পরীক্ষায় তার শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে তিনি নিজ বাড়িতে সেল্ফ আইসলিউশনে রয়েছেন।

করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর হার কমাত ইংল্যান্ডে পহেলা জুন থেকে লকডাউন কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। রিসেপশন, ইয়ার ওয়ান এবং ইয়ার সিক্সের জন্য খোলা হয়েছে স্কুল। ভিন্ন দুটি পরিবারের ৬ জন এক সাথে পার্ক অথবা প্রাইভেট গার্ডেনে মিলিত হতে পারবেন। তবে কেউ কারো ঘরে প্রবেশ করতে পারবেন না। খুলেছে কার শো রোমের মতে কিছু দোকানও। তবে বুধবার মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড সে দেশের শ্বেতাঙ্গ পুলিশী নির্যাতনে নিহতের ঘটনার প্রতিবাদ এবং দোষি পুলিশের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে লন্ডনের হাইড পার্কে সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি এবং বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতে লকডাউন আইন ভেঙ্গে সাধারণ মানুষের উপস্থিতির ফলে এই জুনে দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমন বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। ফলে জুলাই-আগস্টে আবার ইংল্যান্ডে পুরো দমে লকডাউন হতে পারে বলে কথা বার্তা হচ্ছে। এরিমধ্যে ঘর থেকে বের হয়ে দু পরিবারের ৬ জন মিলিত হলেও কারো ঘরে প্রবেশ না করতে কঠোরভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

 

 

Advertisement