চীনের তৈরি নতুন মহাকাশ স্টেশনে নভোচারীরা হাঁটাহাঁটি করেছেন। মহাকাশে থাকা অবস্থায় চীনা নভোচারীরা তাদের যান থেকে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বের হয়েছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।রোববার (৪ জুলাই) সকালে নভোচারীরা তাদের মূল কেবিন থেকে বের হন। সেই সিসিটিভি ফুটেজ চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো হয়েছে।এতে দেখা গেছে, নভোচারীরা কেবিনে ব্যায়াম করার সময় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিচ্ছেন। এরপর তাদের কেবিনের দরোজা খুলে মডিউল থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা গেছে। সেখানে তারা ছয় থেকে সাত ঘন্টা হাঁটাহাঁটি করবেন।
এই মিশন চলাকালে মহাকাশে তাদের দু’বার হাঁটার পরিকল্পনা রয়েছে। এটি তাদের প্রথম হাঁটার ঘটনা।গত ১৭ জুন চীনের গাংসু প্রদেশে গোবি মরুভূমির একটি উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে শেনজু-১২ নভোযান উৎক্ষেপণ করা হয়। এতে তিনজন নভোচারি ছিলেন। এরা হলেন- নি হাইসেং, লিই বোমিং এবং ট্যাং হংবো। তারা মহাকাশ স্টেশনে তিনমাস অবস্থান করবেন।স্টেশনের ভেতর ১৭ মিটার লম্বা আর চার মিটার চওড়া সিলিন্ডার আকৃতির ‘তিয়ান’ নামক কক্ষে থেকে তারা গবেষণা করবেন। এছাড়া মিশন কমান্ডার নি হাইসেং এবং তার দুই সহযোগীর প্রধান কাজ সাড়ে বাইশ’ টন ওজনের তিয়ানে মডিউলটিকে সচল করা। এটি গত এপ্রিলে মহাকাশ কেন্দ্রে পাঠানো হয়।মহাকাশে নতুন একটি স্টেশন তৈরি এবং সেখানে দীর্ঘ সময়ের জন্য নভোচারী পাঠানো চীনের উত্তরোত্তর সক্ষমতা বাড়ার আরেকটি নিদর্শন। কমিউনিস্ট পার্টির শততম বার্ষিকী পালনের প্রেক্ষাপটে চীন বিগত পাঁচ বছর পর মহাকাশে যে মুনষ্য মিশন সাফল্যের সঙ্গে পরিচালনা করছে তা তার মর্যাদাকে বাড়িয়েছে বহুগুণ।এই মিশনে অংশ নেয়ার আগে নভোচারীদের ছয় হাজারেরও বেশি ঘণ্টা প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। আগামী বছরের শেষ নাগাদ মোট ১১টি মিশন চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে চীনের মহাকাশ সংস্থা।