সম্প্রতি ব্রিটেনের সেন্সাসওয়াইড এবং হসপিটালিটি মার্কেটিং ফার্ম ফ্লিপডিশের একটি নতুন জরিপে জানা গেছে, আতিথেয়তা বা হসপিটালিটি শিল্পে যারা কাজ করছেন তাদের মানসিক স্বাস্থ্যগত অবস্থা মহামারীর আগের সময়ের চেয়েও খারাপ।এই সংস্থা দুটি হসপিটালিটি সেক্টরে কাজ করে এমন ২০০ জন মানুষের মধ্যে এ জরিপ চালায়। এতে এই ২০০ জনের মধ্যে প্রায় এক তৃতীয়াংশ বলেছেন যে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা ২০২০ সালের তুলনায় খারাপ রয়েছে। জরিপের রিপোর্টে এর কারণ হিসেবে হসপিটালিটি সেক্টরে অনেক শূন্যপদ অর্থ্যাৎ বহু সংখ্যক মানুষের কর্মহীনতাকে দায়ী করা হয়েছে। এছাড়া ৪৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী জানিয়েছে বেশি মাত্রায় কাজে থাকার ফলে তারা মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। তবে করোনা বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পরে লন্ডনে বেশ কিছু রেস্টুরেন্টে পর্যাপ্ত স্টাফ না থাকায় কাস্টমারদের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও খুলতে পারছে না।এদিকে লন্ডনের ওয়েস্ট ইন্ডের রেস্টুরেন্টগুলোতে স্টাফ ঘাটতি থাকায় ওয়েস্টমিনস্টার সিটি কাউন্সিল এই সমস্যা মেটাতে ১০ লাখ পাউন্ড স্কিম বরাদ্দ করেছে।এদিকে জরিপের এমন চিত্রকে ট্রমাটাইজড হওয়ার মতো অবস্থা হিসেবে বর্ণনা করেছেন মার্লি ক্যামারলিং নামের হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রির এক বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।এদিকে এর আগে হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রির মানসিক স্বাস্থ্য সংস্থা দ্য বার্ন শেফের ২০২১ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন হসপিটালিটি কর্মী এই সেক্টর থেকে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।এছাড়া ২০২০ সালে তাদের একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ৮০ শতাংশ কর্মী তাদের কাজের পরিবেশ, কর্মঘন্টা প্রভৃতি কারনে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা অনুভব করেছেন। অন্যদিকে ব্রিটেনজুড়ে মুদ্রাস্ফীতি বাড়া সহ অন্যান্য খরচ বেড়ে যাওয়ায় রেস্টুরেন্ট মালিকেরা নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। অনেক রেস্টুরেন্ট মালিক এই অবস্থায় নিদ্রাহীন রাত কাটাচ্ছেন।
মানসিক সমস্যায় ভুগছে লন্ডনের হসপিটালিটি সেক্টরের কর্মীরা!
Advertisement