করোনা মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক যে মন্দা দেখা দিয়েছে তার জন্য সকলকে সাশ্রয়ী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “সকলকে একটু সাশ্রয়ী হতে হবে, সতর্ক ও মিতব্যয়ী হতে হবে। নিজেদের সঞ্চয় বাড়াতে হবে। তেল, গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ ব্যবহার সীমিত করতে হবে। যেখানে খালি জমি আছে, যত বেশি পারবেন খাদ্য উৎপাদন করবেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সড়ক পথের উন্নয়নের পাশাপাশি আমরা সমগ্র বাংলাদেশে শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হয়েছি। যদিও করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের অর্থনৈতিক গতি কিছুটা স্লথ হয়েছে। কারণ আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এটা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং স্যাংশন। এরফলে আমাদের এখন প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে শুধু আমাদের না বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই সমস্ত জিনিসের মূল্য বেড়ে যাওয়াতে অর্থনৈতিক গতিশীলতা কিছুটা স্লথ হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “অনেকে অনেক কথা বলতে পারে কিন্তু যে কাজগুলো করেছি তার সুফল মানুষ পাচ্ছে। তৃণমূল পর্যন্ত উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। সরকার কাজ করেছে বলেই, মানুষের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন হয়েছে। দেশের যোগাযোগ খাতের উন্নয়নে নিরন্তর কাজ করছে সরকার।তিনি বলেন, “ফল, তরকারি, যেটাই পারেন, উৎপাদন করবেন। হাঁস-মুরগি, ছাগল, ভেড়া পালন করবেন। নিজেদের উপার্জন নিজেদের করার চেষ্টা করতে হবে। যাতে বিশ্বব্যাপী মন্দার ধাক্কা বাংলাদেশে বেশি ক্ষতি করতে না পারে। আন্তর্জাতিকভাবে খাদ্যের যে অভাব দেখা দিচ্ছে, সেই অভাব থেকে বাংলাদেশের মানুষ যেন মুক্ত থাকে, সেটাই আমাদের প্রচেষ্টা।সরকারপ্রধান বলেন, “আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশটাকে উন্নয়নের জন্য আমরা ২০২১ রূপকল্প ঘোষণা দিয়েছিলাম। সেটাই লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করা। একই সাথে শত সেতু নির্মাণ করা এবং তার উদ্বোধন করা আশ্চর্যের বিষয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলাম বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে যেখানে মোবাইল ফোনও ছিল না, মোবাইল নেটওয়ার্ক ছিল না, আমরা সেটাও তৈরি করে দিয়েছি। আমরা আজ একই সাথে সমস্ত বাংলাদেশের যোগাযোগ করে এই সেতু উদ্বোধন করার সুযোগ পেয়েছি।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি গণভবন প্রান্তে সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। অনুষ্ঠানে সেতুগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। অনুষ্ঠানে সেতুগুলোর ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।