মুখোমুখি হবে দুই চ্যাম্পিয়ন ইতালি ও আর্জেন্টিনা

আবারও ফিরে আসছে টান টান উত্তেজনার কোপা আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ নাইট! কোপা ও ইউরোর দুই চ্যাম্পিয়নকে নিয়ে এক ম্যাচের ফাইনাল আয়োজন করতে যাচ্ছে কনমেবল ও উয়েফা। সব ঠিক থাকলে এ বছরের শেষের দিকে মাঠে গড়াবে দুই জায়ান্টের শিরোপা লড়াই। যার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে দিয়াগো ম্যারাডোনা সুপার কাপ।৬৩ বছর পেরিয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ, অন্যদিকে ১০৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী সাউথ আমেরিকান টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকা।দুই অঞ্চলের ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই বুঁদ হয়ে উপভোগ করে পুরো বিশ্ব।ইউরোর ১৩ আর কোপার ৪৭তম আসর শেষে ভাবা হচ্ছে দুই টুর্নামন্টের চ্যাম্পিয়ন দলের শক্তি পরীক্ষায় আরো একটা লড়াইয়ের কথা। ইউরোর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইতালি আর কোপার আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হবে প্রথমবারের মত এই টুর্নামেন্টে, উয়েফাকে কনমেবলের দেয়া প্রস্তাবে টুর্নামেন্টের নামকরণ করা হয়েছে দিয়াগো ম্যারাডোনা সুপার কাপ।

লাতিন ভার্সেস ইউরোপীয়ান ফুটবলে দর্শক চাহিদা, মাঠের লড়াইয়ে চ্যাম্পিয়নদের চ্যাম্পিয়ন ফাইট, বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে যোগ করবে আলাদা মাত্রা। এই বিষয় গুলোকে মাথায় রেখেই ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের আগে নভেম্বরে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে দিয়াগো ম্যারাডোনা সুপার কাপ।এবারের ইউরোতে মোট ৫১ ম্যাচে গোল হয়েছে ১৪২টা, সর্বোচ্চ ৫ গোল করেছেন পর্তুগীজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও চেক রিপাবলিকান প্যাট্রিক শিক। টিভিতে ম্যাচ উপভোগ করেছেন বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি দর্শক আর মাঠে বসে খেলা দেখেছেন প্রতি ম্যাচে গড়ে ২১ হাজার ৫৫৪জন, মোট দর্শক ছিলো প্রায় দুই কোটি।কোভিড সতর্কতায় এবারের কোপায় সংরক্ষিত দর্শক আসনে প্রতি ম্যাচে গড়ে উপস্থিত ছিলেন ২৭৯ জন যার মধ্যে প্রায় সবাই ম্যাচ সংশ্লিষ্ট। পুরো টুর্নামেন্টে অ্যাটেন্ডেস ৭৮০০। ২৮ ম্যাচে গোল সংখ্যা ৬৫, চারটা করে গোল করেছেন আর্জেন্টাইন ক্যাপটেন লিওনেল মেসি ও কলম্বিয়ান উইঙ্গার লুইস দিয়াজ।দর্শক চাহিদার পরিসংখ্যান, তারকা খেলোয়াড়দের পারফরমেন্স আর দুই অঞ্চলের ফুটবল সৌন্দর্য্যের সাথে হাল না ছাড়া লড়াই, মুলত জন্ম দিতে যাচ্ছে লাতিন অ্যামেরিকান ভার্সেস ইউরোপিয়ান ফুটবলের আরো একটা লড়াইয়ের।

Advertisement