ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: মে মাসের পর বৃটেনে মঙ্গলবার একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে তার উপদেষ্টারা সতর্ক করেছেন। তারা বলেছেন, কমপক্ষে তিন মাসে প্রতিদিন কয়েক শত করে মানুষ মারা যেতে পারে। এর মধ্য দিয়ে বৃটেনে ভয়াবহভাবে দ্বিতীয় দফা করোনা সংক্রমণের বিষয়ে ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে আরো কঠোর লকডাউন আরোপের চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে বরিস জনসনের ওপর। অনলাইন স্কাই নিউজ এ খবর দিয়ে বলছে, মঙ্গলবার একদিনে বৃটেনে মারা গেছেন ৩৬৭ জন। এদিন আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ২৩ হাজার মানুষ। তবে এখনও এ বিষয়ে কি করা হবে, সে ইঙ্গিত দেয়া হয়নি ডাউনিং স্ট্রিট থেকে।
বলা হচ্ছে, সামনেই শীতকাল। এ সময়ে বসন্তকালের চেয়ে বেশি মানুষ মারা যেতে পারেন করোনায়। সর্বশেষ যে সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে তাকে উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছেন সরকারের এক মুখপাত্র। ডেইলি টেলিগ্রাফের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর প্রধান বিজ্ঞান বিষয়ক উপদেষ্টা স্যার প্যাট্রিক ভ্যালেন্স সহ বিশেষজ্ঞরা আরো কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন। তারা উদ্বেগ জানিয়ে বলছেন, বর্তমানে যে সংখ্যক মানুষ মারা যাচ্ছে তা আগামী কমপক্ষে তিন মাস অব্যাহত থাকতে পারে। এতে দিনে মারা যেতে পারেন কয়েক শত মানুষ। তারা আরো সতর্ক করে বলেছেন, মধ্য ডিসেম্বর নাগাদ ইংল্যান্ডকে সবচেয়ে কঠোর বিধিনিষেধ তৃতীয় পর্যায়ের অর্থাৎ টায়ার-৩ এর অধীনে আনার প্রয়োজন হতে পারে।
সরকারি হিসাবে বৃটেনে বর্তমানে করোনায় মৃতের সংখ্যা প্রায় ৫৯ হাজার। পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের মেডিকেল পরিচালক ড. ইয়োনে ডোয়েল মঙ্গলবার সতর্কতা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আরো কিছু সময় ধরে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকবে। করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা হচ্ছে যখন, তখন ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে যে, সেখানে টিয়ার-৩ এর অধীনে বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। এর অধীনে বাসাবাড়িতেও মেলামেশা করা যাবে না। বন্ধ থাকবে পাব। ওদিকে মঙ্গলবার সর্বোচ্চ সতর্কতার স্তরে প্রবেশ করেছে ওয়ারিংটন। এর সঙ্গে বৃহস্পতিবার যুক্ত হবে নটিংহ্যাম। এরই মধ্যে টিয়ার-৩ এর অধীনে আনা হয়েছে লিভারপুল সিটি রিজিয়ন, গ্রেটার ম্যানচেস্টার, ল্যাঙ্কাশায়ার এবং সাউথ ইয়র্কশায়ারকে। অন্যদিকে টিয়ার-২ বিধিনিষেধের মধ্যে পড়তে যাচ্ছে স্ট্যাফোর্ডশায়ার।