ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ভারতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার আরও কমেছে। চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে জিডিপি বৃদ্ধির হার নেমে এসেছে ৪.৫ শতাংশে।
ভারতের অর্থনীতির এই দুরবস্থার কারণে এখন প্রশ্ন উঠেছে নরেন্দ্র মোদির ভারত কি ফের ‘হিন্দু রেট অব গ্রোথ’ এর পথে হাঁটছে?
স্বাধীনতার পর দীর্ঘ সময় দেশের আর্থিক বৃদ্ধির গড় হার ৩.৫ শতাংশের আশেপাশে ঘোরাফেরা করেছিল। তাকে ব্যঙ্গ করে ‘হিন্দু রেট অব গ্রোথ’ তকমা দেন অর্থনীতিবিদ রাজ কৃষ্ণ। সেই তকমা জনপ্রিয় হয়েছিল।
বলা হত, হিন্দু সাধুসন্তদের নির্মোহ জীবনযাপন আর অল্পে সন্তুষ্টির মতো দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধির হার নিয়েও ভারত অল্পেই সন্তুষ্ট।
অথচ ভারতের সঙ্গে একই সময়ে স্বাধীন হওয়া অন্য এশীয় দেশগুলোর অর্থনীতি অনেক দ্রুত হারে বেড়েছিল।
এ জন্য অর্থনীতিবিদরা ‘লাইসেন্স-রাজ’, রক্ষণশীল আর্থিক নীতিকে দায়ী করেন। মুক্ত অর্থনীতিপন্থিরা একে ‘নেহরুর সমাজতন্ত্র’-র ফল বলেও মনে করেন।
১৯৯১-এর আর্থিক সংস্কারের পরে বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ হতে শুরু করে।
তবে মোদি সরকারের অর্থনৈতিকবিষয়ক সচিব অতনু চক্রবর্তীর দাবি, ‘আইএমএফ-ই বলেছে, এ বছর বৃদ্ধির হার ৬.১ শতাংশে পৌঁছবে। আগামী অর্থ বছরে ৭ শতাংশ হবে। শেয়ার বাজারে লগ্নির আগমনও ইতিবাচক।’
মুখ্য অর্থনৈতক উপদেষ্টা কে ভি সুব্রহ্মণ্যনের দাবি, ‘অর্থনীতির ভিত মজবুতই রয়েছে। অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিক থেকেই বৃদ্ধির হার বাড়তে শুরু করবে।’